শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:১৫ সকাল
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে: মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ওমর শাহ: মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে। মিয়ানমার সরকার কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে বলেও তিনি জানান। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা জানান।

পরে রাতে প্রেসিডেন্টের উপ-প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে বলেন, মিয়ানমার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। এ জন্য রিসিপশন ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়—বঙ্গবন্ধুর এই পররাষ্ট্রনীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী।”

সচিব বলেন, সাক্ষাতের সময় প্রেসিডেন্ট গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে ছয় লাখের বেশি এবং আগে বিভিন্ন সময়ে আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার বিষয়টি মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী দেশ। মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরতে পারে এ জন্য মিয়ানমার সরকাররের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ ও আস্থা তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ, কৃষিজমি ও দোকানপাট ফেরত প্রদানে মিয়ানমারের সরকারকে উদ্যোগ নেবে। তিনি কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পারস্পরিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে কাজ করতে পারে। সীমান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্মতিপত্র সই হয়।এর ভিত্তিতে দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে এবং ১৬ জানুয়ারি ওই গ্রুপের প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়। জানুয়ারির শেষ দিকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে এই প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে বুধবার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এদিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে অংশ নেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবরা, পুলিশের মহাপরিচালক, কোস্ট গার্ড ও বিজিপির মহাপরিচালক এবং মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়