শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৪৬ সকাল
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকার সেরা হাসপাতাল সোহরাওয়ার্দী

ডেস্ক রিপোর্ট : হাসপাতালের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ভর করে তার জনবলের দক্ষতা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার ওপর। স্বাস্থ্যসেবায় অর্থায়ন, ওষুধপত্র ও প্রযুক্তি এবং নেতৃত্ব ও সুশাসনও এক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে রাখে হাসপাতালগুলোকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এসব মানদণ্ডে ২০১৭ সালে ঢাকার সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি পেয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যদিও ২০১৫ সালে সেরা হাসপাতালের তকমাটি ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দখলে।

ডব্লিউএইচওর ছয়টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে মোটা দাগে চারটি শ্রেণীতে সেরা হাসপাতাল বাছাই করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল। চার শ্রেণীতে সেরা নির্বাচিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে পাঁচটি, জেলা হাসপাতাল পাঁচটি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (টারশিয়ারি) তিনটি ও বিশেষায়িত হাসপাতাল একটি। এসব হাসপাতালের নাম গতকাল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ডব্লিউএইচওর মানদণ্ড অনুসরণে মোট ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে তালিকাটি করা হয়েছে। এ নম্বর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন ভাগে। অনলাইনে নিয়মিত তথ্য প্রদানের জন্য ১০০, হাসপাতালের কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে ১০০ ও রোগীর সন্তুষ্টি যাচাই জরিপের জন্য বাকি ১০০ নম্বর দেয়া হয়। তবে চূড়ান্ত মূল্যায়নে পরিদর্শনের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তাদের স্কোর ৩০০-এর মধ্যে ২২০ দশমিক ৯৪। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের দায়িত্ব পালনে নিয়মিত উৎসাহ দেয়া হয়। হাসপাতালও পরিদর্শন করা হয় নিয়মিত। সংশ্লিষ্টরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে কিনা, তা তদারকির জন্য একটি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি সার্বক্ষণিক সব বিষয় নজরদারি করছে। এসবের ফলে ডব্লিউএইচওর যে ছয়টি মানদণ্ড ছিল, তা যথাযথভাবে পরিপালন করা সম্ভব হয়েছে।

এ শ্রেণীতে ২০১৫ সালে সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি পেয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এবার তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি, স্কোর ২০৮ দশমিক ৩৫। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, এ হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা নিতে আসছে। তবে দক্ষ জনবলের অভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও হালনাগাদ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রতিফলন দেখা গেছে তালিকায়।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শ্রেণীতে এবার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আগেরবারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এবারের তালিকায় স্থান হয়নি হাসপাতালটির। আর বিশেষায়িত হাসপাতাল শ্রেণীতে সেরা নির্বাচিত হয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল। তাদের স্কোর ১৯৮ দশমিক ১৪।

জেলা পর্যায়ের সেরা পাঁচ হাসপাতালের মধ্যে প্রথমেই আছে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। এ শ্রেণীতে পরের স্থানটিও জেলাটির আরেক সরকারি হাসপাতাল, নরসিংদী জেলা হাসপাতালের। এ দুই হাসপাতালের স্কোর যথাক্রমে ২৩৬ দশমিক ৩৯ ও ২৩৫ দশমিক ১৫। এ শ্রেণীতে সেরা নির্বাচিত অন্য তিন হাসপাতাল হলো যশোরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, পাবনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল।

উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শুধু উপজেলা পর্যায়ে নয়, সার্বিকভাবেই সবচেয়ে বেশি স্কোর এ হাসপাতালের। ৩০০-এর মধ্যে হাসপাতালটির স্কোর ২৪০ দশমিক ৫১।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল হাসপাতালে উন্নীত করতে গুরুত্ব ভূমিকা রেখেছেন হাসপাতালটির স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. ইমদাদুল হক। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল হাসপাতালে উন্নীত করতে ১৯৯৬ সালে কাজ শুরু করে একটি টিম। শিশু ও মাতৃসেবা কীভাবে উন্নত করা যায়, তার একটি উপায় বের করে তারা। সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেম উন্নত করা হয়। পরে ধীরে ধীরে দেশ-বিদেশে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।

উপজেলা পর্যায়ে সেরা পাঁচ হাসপাতালের পরেরটিও যশোরের। এ শ্রেণীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর পেয়েছে জেলার কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৪০ দশমিক ৩৮। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

সেরা এসব হাসপাতালকে গতকাল পুরস্কৃত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তালিকায় শুধু শীর্ষে থাকলেই হবে না, সেবার মান কীভাবে আরো উন্নত করা যায়, সে চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে। সেবার মানে উন্নতি আনতে হবে অন্যান্য হাসপাতালকেও।

সেরা হাসপাতালের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতেও সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেরা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে খুলনা ও রাজশাহী। ১০০ নম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় পেয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ নম্বর। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় পেয়েছে ৬৮ দশমিক ১৭ নম্বর। সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোর মধ্যে ৮৫ দশমিক ৬৫ নম্বর নিয়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছে যশোর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। তাদের নম্বর ৮৪ দশমিক ৪৮। তালিকায় এর পরে রয়েছে যথাক্রমে পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ ও নরসিংদী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। সূত্র : বণিক বার্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়