শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বাংলা ভাষার পরিচর্যার বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত’ : অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

আশিক রহমান : ভাষা নিয়ে আমাদের যে গর্ব, যে অহংকার ছিল সেটা এখন আর নেই। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্যবৃত্তিক একটা অহংকার সব সময় আমরা লালন করি ঠিকই কিন্তু ভাষার সঠিক মর্যাদা না দেওয়ার কারণে সেই অহংকারের ভিত্তিটি হারিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। মধুর সেই ভাষার মর্যাদা দিতে চাইছিল না পাকিস্তানিরা। লড়াই করে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছি। কিন্তু রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাষার মর্যাদা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। কারণ আমাদের উচ্চারণে, লিখনে যে বাংলা ভাষা এখন প্রচলিত তা মানসম্মত নয়। মানসম্মত বাংলার অভাব বাংলা ভাষাকে নানাভাবে সঙ্কটাপন্ন করেছে। এর জন্য অবশ্যই দায়ী আমাদের ঐকান্তিকতার অভাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সব পর্যায় বাংলা ভাষার পরিচর্যার বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত। সরকারি ভাষায় বাংলা বিকৃত, বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহারে বাংলা ভাষা অনেকটাই প্রমিত নয়। যার ফলে একটা নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলা ভাষার সঠিক মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে আছি এবং এর জন্য যার যে ভূমিকাটুকু পালন করার কথা ছিল, সে ভূমিকা কেউ পালন করেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে এই ইতিহাসবিদ বলেন, উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। প্রতিবন্ধকতা হচ্ছেÑ মানসম্মত বাংলা পাঠ্যপুস্তক নেই। বাংলায় যে সমস্ত এ যাবৎ পাঠ্যপুস্তক বেরিয়েছে সেগুলো মানসম্মত নয়। এবং অনেক ক্ষেত্রেই গুণ-মানহীন লেখকেরাই এসব লেখা লিখেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ী প্রকাশকেরা সেই বইগুলো বাজারজাত করেন।

তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বাংলা ভাষার জ্ঞানও অত্যন্ত সীমিত। বিশেষ করে বর্তমানে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় যারা পড়ালেখা করছে তাদের ভাষাজ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। যে কারণে তারা শিক্ষার উচ্চপর্যায়ে এসেও মানসম্মত বাংলা লিখতে বা বলতেও পারছে না। কারণ প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মানসম্মত বাংলায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন না। ভাষার চর্চাও হচ্ছে না বা বাংলাভাষার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চাও সঠিকভাবে হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা, ব্যবহার ও ভাষার মর্যাদা ধরে রাখার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরও দায় আছে। বাংলা একাডেমি থেকে বাংলা ভাষার মানসম্মত যে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশিত হয় তার সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার। পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করার জন্যও উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে, শিক্ষকদেরকে প্রণোদনামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষকদের দিয়ে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক লিখে নেওয়া দরকার। আর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদেরও প্রমিত বাংলায় বক্তৃতা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও করেন এই শিক্ষাবিদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়