শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০২ সকাল
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বড় বোনের হাত ধরে জঙ্গিবাদে ছোট বোন

ডেস্ক রিপোর্ট : বড় বোনের হাত ধরেই জঙ্গিবাদে প্রবেশ করেছে রাজধানীর কাফরুলের পূর্ব কাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া আসমাউল হুসনা সুমনা (২২)। তার বড় বোন মোমেনা সোমার বন্ধু ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নিবরাস ইসলাম ও রোহান ইমতিয়াজ। ২০১৪ সালে ইংরেজি বিভাগে অধ্যয়নকালে পরিচয় হয় বিবিএ ফ্যাকাল্টির নিবরাসের সঙ্গে। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা চালানোর সময় নিবরাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, মীর সামীহ মোবাশ্বীর, উজ্জ্বল ও পায়েল নিহত হওয়ার পর মোমেনা বিদেশে চলে যাওয়ার পথ খুঁজতে থাকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় মোমেনা গমন করে। ৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় ঘুমন্ত এক নাগরিকের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে গ্রেফতার হয় মোমেনা। এরপর অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট পূর্ব কাজীপাড়ার বাসা থেকে সুমনাকে গ্রেফতার করে। সুমনা ধানমন্ডির ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। পুলিশ তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত সুমনার সঙ্গে নব্য জেএমবির সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। ভার্চুয়াল জগতে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় সে। তবে তার সঙ্গে অন্য কোনো নারী জঙ্গির যোগাযোগ আছে কিনা-তা তদন্ত করা হচ্ছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, আইএস বা আল কায়েদার কর্মকাণ্ডকে সুমনা সমর্থন দিয়ে দেশে অমুসলিমদের হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ মতাদর্শ সামনে রেখে সুমনা শিক্ষানবীশ জঙ্গি হিসেবে কাজ করছে। তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে এ সংক্রান্ত তেমন কোনো তথ্য মিলেনি। এ কারণে মোবাইল ফোন ও ল্যাবটপ সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, মোমেনা অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার সময় তার ছোট বোন সুমনাকে জঙ্গিবাদে দীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী সুমনা ভার্চুয়াল জগতে যোগাযোগ করে আইএস ও আল-কায়দার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর মেলবোর্নে এক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করার পর বাংলাদেশি নারী শিক্ষার্থী মোমেনা সোমাকে আটক করে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ। ওই দেশের পুলিশের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে অস্ট্রেলিয়ান ওই ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় সোমা নামের এক বাংলাদেশি নারী গ্রেফতার হওয়ার পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি ইউনিট মিরপুরের পূর্ব কাজীপাড়ার বাসায় যায়। সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সোমার বাবা ও ছোট বোন সুমনার সঙ্গে কথা বলে। কথা শেষ হওয়ার আগেই হিজাবের নিচে লুকিয়ে রাখা একটি ছুরি নিয়ে সুমনা সিটিটিসির এক কর্মকর্তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছুরিকাঘাতে ওই কর্মকর্তার শার্ট ছিঁড়ে গায়ে ছুরির আঁচড় লাগে। আচমকা এই আক্রমণ সামলিয়ে ওই কর্মকর্তা অন্যদের সহায়তায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করেন। পরে কাফরুল থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়