সাইদ রিপন: ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল অবৈধ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। ইতিমধ্যেই আদালত এসিআই মোটর লিমিটেডকে দেশের একমাত্র বৈধ আমদানিকারক ও বিপননকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী।
বিআরটিএ সূত্র জানিয়েছে, দেশে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি ও বাজারজাত করনের জন্য এসিআই লিমিটেডকে বৈধ প্রতিষ্ঠান ঘোষনা করেছে আদালত। একই সাথে পুশ ইন্টারন্যাশনাল, নিউ সোনারগাঁ মোটরস, আরএন এন্টারপ্রাইজ, পোলারিস টেক লিমিটেড, পাওয়ারপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। আদালতের এ নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিএ ও পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
সূত্র আরো জানায়, দেশে আসা অবৈধভাবে মোটরসাইকেল নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কেনার পর সঠিক সময়ে সঠিক সার্ভিসটি পাচ্ছে না ক্রেতারা । বৈধ আমদানিকারকরা সঠিক মূল্য প্রদর্শন করে দেড়শ শতাংশের বেশি শুল্ক প্রদান করেন। কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকরা কম মূল্য দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোক্তাদের প্রতারিত করে। সম্প্রতি সময়ে এসিআই লিমিটেডের প্রচলিত মডেলের বাইরে এফজেডএস এফআই ভি ২.০ এবং ফেজার এফআই ভি ২.০ মোটরসাইকেল বাজারজাত করা হচ্ছে। বিভিন্ন অবৈধ প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে এসব মোটরসাইকেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসিআই লিমিটেড আদালতে আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেসার্স এসিআই মোটরস লিমিটেড কর্তৃক ইয়ামাহা মটর প্রাইভেট কোম্পানির তৈরিকৃত ইয়ামাহ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলে বৈধ আমদানিকারক বলে ঘোষণা করেছে। বাকি সকল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বাতিল ঘোষণা করে। বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. নূরল ইসলাম সাক্ষরিত একটি চিঠিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রান্সপোর্ট) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, অবৈধ মোটরসাইকেল আমদানির বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ এ্যাকশন গ্রহন করবে। কেননা অবৈধ আমদানিকৃত মোটরসাইকেল দিয়ে অপরাধমূলক কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়। আর পরবর্তীতে অপরাধমূলক কার্যক্রম হলে চিহ্নিত করতে অসুবিধায় পড়তে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :