সুজন কৈরী : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দীন রোডের কারাগার থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতরে ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে কেন্দ্রীয় কারাগারের যেখানে রাখা হয়েছে সেটি অনিরাপদ ও অস্বাস্থ্যকর- বিএনপির পক্ষ থেকে তোলা এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ছিল। সবচেয়ে নিরাপদ কারাগার। এখানকার পরিবেশ মোটেও অস্বাস্থ্যকর নয়। যেখানে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে সেটা একটা নতুন বিল্ডিং, যা বাচ্চাদের ডে-কেয়ার সেন্টার ছিল। জেল কোড অনুযায়ী তাকে যত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার সবই দেওয়া হচ্ছে। তাই এখান থেকে তাকে স্থানান্তরের চিন্তা সরকারের নেই।
এ সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দারা কাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও সহায়তা করা হচ্ছে। আশা করছি মূল হোতারা অচিরেই ধরা পড়বে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষরেয় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে কথা বলতে আমি মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে চুক্তি ছাড়াও ১০টি পয়েন্ট ডিকলারেশনের বিষয়ে কথা হয়েছিল। আবার আমাদের আমন্ত্রণে সে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। আমরা আশা করি, আমরা সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। ১০ পয়েন্ট ভিত্তিক আলোচনার অগ্রগতি এবং সবচেয়ে যেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে তাদের কিভাবে ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা আসা এখনো অব্যাহত আছে এবং তাদের আসা ও ফেরত নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসা যেটা আসছে যে, আগে যেমন হাজারে হাজারে লাখ চলে আসতো, এখন মাঝে মাঝে দুই একশ করে আসছে। এখন এটা অনেকভাবে কমে গেছে। আমরা আশা করি এটা জিরোতে চলে আসবে। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক চাপের বিষয়টি এখন গৌণ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না মোটেই গৌণ হয়নি। আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। সেজন্য তারা মাঝে মাঝে আসছেন এবং আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা আশা করছি চাপ আরো বৃদ্ধি পাবে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে তারা ফেরত নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :