ইমরুল শাহেদ : দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার ভাগ্য নির্ধারিত হবে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে। কারণ দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। তার আট বছরের শাসনামলে যে সব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে জোহানেসবার্গ পুলিশ জ্যাকব জুমার দুর্নীতি তদন্তের অংশ হিসেবে তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত আফ্রিকার ব্যবসায়ী মিত্র প্রভাবশালী গুপ্ত পরিবারের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, অভিযানকালে গুপ্ত পরিবারের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার জ্যাকব জুমার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কমিটি পার্টি (এএনসি) প্রকাশ্যেই তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। জুমা এই আহ্বানে সাড়া না দিলেও তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দলে।
তিনি যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে তাকে ২২ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিতব্য অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। যেহেতু তিনি দলের কথা শোনেননি সেহেতু পার্লামেন্টে দল তাকে সমর্থন দেবে না। তবে জ্যাকব জুমার পদত্যাগের সঙ্গে দলের ইমেইজের প্রশ্নটি জড়িত। জ্যাকব জুমার কারণে এএনসির জনপ্রিয়তা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছিল। ২০১৬ সালের মিউনিসিপাল নির্বাচনে এএনসি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যেসব স্থানগুলোকে এএনসির আখড়া বলে ভাবা হতো সে স্থানগুলোতেও বিরোধী ডেমোক্রেটিক মিত্রদের কাছে হেরেছে এএনসি। এজন্য দলটি ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে জুমা থেকে রেহাই পেতে চায়। এএনসি ১৯৯৪ সালে নেলসন মান্ডেলা দেশটির প্রসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই শাসন করে আসছে।
জ্যাকব জুমা অনেক সময়ই বলতেন, যিশুর প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত এএনসি ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকানদের হৃদয়ে আছে অন্য কিছু। স্বাধীনতার দল হিসেবে এই দলটির প্রতি দেশবাসীর একটা আনুগত্য আছে।
অন্যদিকে বুধবার জোহানেসবার্গ পুলিশ জুমার মিত্র পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। জুমার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই আফ্রিকান পরিবারটি। জুমা সরকার এই পরিবারটিকে নানাভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জোহানেসবার্গের জনগণ এই পরিবারটিকে রাজ্য দখলকারী বলে উল্লেখ করেছে। তবে জুমা ও গুপ্ত পরিবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সূত্র : সিএনএন, আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :