ফারমিনা তাসলিম: সুন্দরবনের উপকূলবাসীরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সমস্যা থেকে সুন্দরবন ও নিজেদের সুরক্ষায় ম্যানগ্রোভ বনায়ন শুরু করেছে। সুন্দরবনে সামাজিক বনায়নের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন খুলনা বন সংরক্ষক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানাবিধ কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে উপকূলবাসী ম্যানগ্রোভ বনায়ন শুরু করেছে।
৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে বিশ্বের অন্যতম নোনা জলাভূমি বাদাবন গড়ে উঠেছে। প্রায় ৭’শ প্রজাতির জীব-বৈচিত্রের সমারোহ রয়েছে বনটিতে। এর মধ্যে গাছই রয়েছে ২’শ ৩৪ প্রজাতির।
সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকাবাসীর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বনের ওপর নির্ভরশীল। ক্রমাগত আহরণের ফলে সম্পদের পরিমাণ কমছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অতি আহরণের ফলে বৃক্ষরাজির পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছাসের মতো প্রকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবন উপকূলবাসীর ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে ম্যানগ্রোভ বনায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কারণে উপকূলবাসী ম্যানগ্রোভ বনায়ন শুরু করেছে।
উপক‚ল এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে সামাজিক বনায়নের প্রয়োজন বলে মনে করেন সুন্দরবন একাডেমির প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।
খুলনার বন সংরক্ষক আমির হুসাইন চৌধুরী জানান, সামাজিক বনায়ন গোটা সুন্দরবন সংলগ্ন উপক‚ল এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন সংলগ্ন উপক‚ল এলাকায় সামাজিক বনায়ন স¤প্রসারিত হলে বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। ফলে বনজ সম্পদের সুরক্ষা মিলবে। উপক‚ল এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য টিকে থাকবে।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :