লিহান লিমা: ইসরায়েলি সেনাকে থাপ্পড় মারা ফিলিস্তিনি কিশোরি আহেদ তামিমির বিচার ইসরায়েলের সামরিক আদালতে শুরু হয়েছে। আইনজীবি উন্মুক্ত বিচারের আবেদন করলেও মাত্র ১৭ বছরের তামিমিকে রুদ্ধধার বিচার কার্যক্রমের সম্মুখীন করা হয়েছে, কক্ষে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার-কর্মীদের প্রবেশ।
ফিলিস্তিনিরা মনে করে তামিমি যা করেছে তা ইসরায়েলি দখলদারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ইসরাইলিদের ভাষ্য, জনপ্রিয়তা পেতে তামিমি সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। তামিমির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা এবং সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার দীর্ঘমেয়াদী কারাদ- হতে পারে।
ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত বলেন, তামিমি ও তার মায়ের ‘আজীবন কারাবাস প্রাপ্য’ হয়ে গেছে। এদিকে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি তামিমিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি তামিমির মুক্তির দাবিতে একটি অনলাইন পিটিশনে প্রায় ১৭ লাখ সই জমা পড়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তামিমি তার মায়ের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার পথে ইসরাইলি সেনারা তাদের পথরোধ করেন। দু’পক্ষের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তামিমি এক সেনাকে প্রথমে লাথি মারেন এবং পরে থাপ্পড় দেন। আরেক সেনাকেও ঘুষি মারেন তিনি। তার মা নারিমান তামিমি পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করার পরই সামাজিক মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনার কয়েক দিন পর এক রাতে অভিযান চালিয়ে তামিমি,তার মা ও তার কাজিনকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি সেনারা।
এর দু’বছর আগে পাথর ছোড়ার অভিযোগে ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা এক ইসরায়েলি সেনার হাত কামড়ে ধরেছিলেন তামিমি। তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সাহসীকতার জন্য তাকে পুরষ্কৃত করেন। এমনকি মাত্র ১১ বছর বয়সে এক ইসরায়েলি সেনার দিকে ঘুষি তেড়ে আসার তামিমির ভিডিওটিও ভাইরাল হয়। আল জাজিরা।
আপনার মতামত লিখুন :