শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৪২ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়াল ৮৬২ কোটি ডলার

জাফর আহমদ: আমদানি ব্যয় বাড়ছে লাগামহীনভাবে। সে অনুযায়ী বাড়ছেনা রপ্তানি আয়। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাড়িয়েছে ৮৬২ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। যার প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ষষ্ঠ মাস ডিসেম্বর শেষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৫১ কোটি ১০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৪১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ৯১ শতাংশ উপরে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা।

রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় যতটুকু বেশি, তার পার্থক্যই বাণিজ্য ঘাটতি। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি বেড়ে গেছে। এছাড়াও শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। এসব কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। তবে এই ঘাটতি মেটানো হয় রেমিট্যান্স ও বিদেশি বিনিয়োগ দিয়ে। এই খাতেও নিম্নগতি রয়েছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বা বিওপি) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুসহ দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। আমদানি হচ্ছে কিন্তু সেই হারে রফতানির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। এ কারনেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। দেশে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে এটা মূলধনী যন্ত্রপাতির হলে ভাল। তবে সে হারে দেশে বিনিয়োগ বাড়েনি। তাই আমদানির নামে অর্থ পাচার হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে শেষে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে এক হাজার ৭৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৬৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

আলোচিত সময়ে, আমদানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। রফতানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অন্যদিকে রেমিট্যান্স বেড়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফলে চলতি হিসাবে ঘাটতি বড় হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছর জুড়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে বৈদেশিক দায় পরিশোধে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১৪৮ কোটি ডলার (-) ঋণাত্মক হয়। যা এখনো অব্যাহত রযেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ডিসেম্বর শেষে ৪৭৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। যা এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল ৫৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
আলোচিত সময়ে সেবাখাতে বিদেশিদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৪৩৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ২০৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ হিসাবে ছয় মাসে সেবায় বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২২৮ কোটি ২০ লাখ ডলারে। যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ষষ্ঠ মাসে ছিল (ঘাটতি) ১৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

ডিসেম্বর শেষে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ সামান্য বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এসেছে মোট ১০৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগও সামান্য বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের আলোচিত মাসে নিট পোর্টফোলিও বিনিয়োগ হয়েছে ২০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়