ড. অনুপম সেন : নাশকতার আরো তিন মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ নির্বাচনে মাঠে নামার আগ মুহূর্তে খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের উপর মামলা মূলত নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখার জন্য সরকারের একটি কৌশল। বিএনপিকে চাপে ফেলে সরকার নির্বাচনী মাঠ নিজেদের অনুকূলে রাখতে চায়। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। নির্বাচনের আগে তারা বিভিন্ন অভিযোগ দাঁড় করিয়েই থাকে।
মামলার ব্যাপারটি বিএনপিই আগে শুরু করেছিল, এরশাদের বিরুদ্ধে। মামলা তো মামলাই। মামলার মতো মামলা চলবে। আইনিভাবেই বেগম জিয়ার সাজা হয়েছে। মামলাটি দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়ায় ছিল এবং অনেক আগেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তা করতে দেননি। তিনি বারবার হাইকোর্টে গিয়ে কার্যক্রম পিছিয়ে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শোন এরেস্টের যে কথা বলা হচ্ছে, তা সত্যি নয়। যে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সে মামলার হাজিরা আছে। যেহেতু তিনি উপস্থিত নেই, তাই তার জামিন নেওয়ার জন্য গ্রেফতার ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হবে।
সুতরাং তিনি সে ওয়ারেন্ট মামলার শুনানিতে জামিন নিয়ে নিবেন, তাহলেই তো হয়ে যায়। নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা মূলত তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এ ধরনের কথার কোন ভিত্তি নেই। মামলার কার্যক্রম কোর্টের ব্যাপার। রায় দিবে কোর্ট, এখানে সরকারের তো কোনো হাত নেই। তারা কোর্টে গিয়ে আইনিভাবে লড়াই চালিয়ে যাক। কোর্টে তাদের অসংখ্য আইনজীবী রয়েছেন। সুপ্রীম কোর্টের সভাপতি পর্যন্ত তাদের সাথে আছেন। কোর্টে আইনি লড়াই তো তাদের জন্য অত্যন্ত সহজ ব্যাপার। এই মামলা অনেক আগেই শেষ করা যেত। তারা নিজেদের মামলা নিজেরাই বিলম্ব করেছেন।
তারা বারবার আবেদন করে বিচারক বদল করেছেন, কোর্ট বদল করেছেন। তাদের এই মামলা নিয়ে বিএনপিকে কোন চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। নারায়নগঞ্জের সিটি নির্বাচনে তারা বলেছিল, নির্বাচন হতেই দিবেনা। তারা নির্বাচন বানচালের ঘোষণা দিলেন, জালাও পোড়াও করলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে মেরে ফেললেন। কত কিছু করলেন এর পরেও নির্বাচন হয়ে গেল। মূলত নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপিই চাপে রাখার চেষ্টা করছে। তারা নিজেদের মামলাকে বারবার পিছিয়েছে এবং সেই রায় এই সময় এসে ঠেকেছে। সুতরাং তাদের নিজেদের এই চাপের জন্য তারা নিজেরাই দায়ি।
পরিচিতি : উপদেষ্টাম-লির সদস্য, আওয়ামী লীগ/ মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :