শাহেদা ওবায়েদ : টিনএজদের মাদক আসক্তি। এটার দুটো ভাগ আছে। এক দল বড়লোকের ছেলে মেয়ে। মা-বাবার অনেক টাকা। বাবা-মা খোঁজই রাখে না, তাদের সন্তানের বন্ধু বান্ধব কারা, কি করছে? তারা কৌতুহল বশতঃ বা ফ্যাশন করতে স্মোকিং ধরে থাকে। আরেকটি দল আছে যারা মধ্যবিত্ত, হতাশাগ্রস্থ। ভালো রেজাল্ট করতে পারছে না। ভালো চাকরি পাচ্ছে না। প্রথমে খেলাচ্ছলে সিগারেট ধরে । তারপর আসক্ত হয়ে পড়ে। সিগারেটে যারা আসক্ত হয়ে যায়, তারা সিগারেট ছাড়তে পারে না। প্রথমে জানা দরকার সিগারেট কতটা ক্ষতিকারক।
সিগারেট ছাড়ার ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। সিগারেট নিয়ে জোকস আছে, সিগারেট ছাড়া খুব সহজ কাজ, আমি বাইশ বার ছেড়েছি। এদেরকে কাউন্সেলিং করতে হবে। বুঝাতে হবে এর ক্ষতিটা কি? জানানোর পরে তার ইচ্ছা হলে সে ছাড়তে পারবে। সিগারেট ছেড়ে যদি আবার ধরে তাহলে ওই ছাড়ায় লাভ কি?
সিগারেট রক্তে মিশে যায়। রক্তে যখন সেটার অভাব হয়, তখন রক্ত বেশি করে চায়। এই হচ্ছে আসক্তির মূল কথা। টিনএজ বয়সের সিগারেট আসক্তি ছাড়াতে হলে বাবা-মায়ের একান্ত নজরদারি দরকার। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা দরকার। একমাত্র বাবা-মায়ের ভালোবাসাই পারে এই পথ থেকে টিনএজারদেরকে ফিরিয়ে আনতে।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ/মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : গাজী খায়রুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :