ডেস্ক রিপোর্ট : ঋণ কেলেঙ্কারির ও অব্যবস্থাপনায় তারল্য সংকটে থাকা বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংককে গ্রাহকদের নতুনভাবে আস্থা ফেরাতে প্রাথমিক আলোচনায় মূলধন জোগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে ব্যাংকটিকে, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বৈঠকে সোনালী, রূপালী, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আইসিবি’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন গভর্নর ফজলে কবির। বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ইউনুসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সরকরি ৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারমার্স ব্যাংকের মূলধন জোগান দেবে।
বৈঠক শেষে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস ছালাম সাংবাদিকদের বলেন, ফারমার্স ব্যাংক তারল্য সঙ্কটে ভুগছে, তাই ব্যাংকটিকে মূলধন দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এটা প্রাথমিক আলোচনা, যা চলবে আরও তিনদিন। তবে কীভাবে দেয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ব্যাংকটিকে মূলধন জোগান দেয়ার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যারা মূলধন জোগান দেবে, তারা ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকবে কি না- জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিস্তারিত জানাবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আইসিবি’র চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ব্যাংকটিকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এটাকে উদ্ধার করতেই বৈঠক হয়েছে। মূলধনের পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
রাজনৈতিক বিবেচনায় বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে অনুমোদন পাওয়া নতুন নয় ব্যাংকের একটি ফারমার্স ব্যাংক। কার্যক্রমের শুরু থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি ও আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে জড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটি এখনও গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। পরিবেশ মন্ত্রণালয়েরও ৫০৮ কোটি টাকা ব্যাংকটিতে আটকে পড়েছে। মানবজমিন
আপনার মতামত লিখুন :