যশোর প্রতিনিধি: এবার যশোরের চৌগাছা উপজেলায় প্রথম শ্রেণির এক শিশু ছাত্রী তার গৃহশিক্ষকের দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ছাত্রী তার মা কে বলেছেন, ‘স্যার পড়াতে এসে আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দিয়েছে এবং আমি চিৎকার করলে স্যার আমার গলা চেপে ধরে বলে, ‘তোর বাবা-মাকে বললে তোকে মেরে ফেলবো’
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবদুল মুজিদ (৬৫)। তিনি আগে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।
ওই ছাত্রীর বাবা জানান, অভিযুক্ত আবদুল মুজিদ প্রায়ই তার মেয়েকে পড়ানোর জন্য বাড়িতে আসতেন। কিন্তু ‘অসৎ চরিত্রের’ হওয়ায় ওই শিক্ষককে পড়াতে আসতে নিষেধ করেন তিনি। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি বাড়ি ছিলেন না। সে সময় বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে ওই শিক্ষক (আবদুল মুজিদ) বলেন, ‘তোমার মেয়েকে পড়াতে এসেছি।’
এরপর তার স্ত্রী রাজি না হলেও ‘আমি দুই-তিন মিনিট পড়া দেখিয়ে দিয়ে চলে যাব’ বলে মেয়ের পড়ার ঘরে ঢুকে পড়াতে থাকেন মুজিদ। এক পর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে ফোন আসলে বাইরে বের হন মেয়ের মা। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন আবদুল মুজিদ ঘরে নেই, আর মেয়ে কান্নাকাটি করছে। তারপরই বিষয়টি ওই ছাত্রী তার মাকে জানান।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার শিক্ষক মজিদের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর বাবা।
এ বিষয়ে মোবাইল যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মুজিদ ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের সাথে পূর্ব বিরোধের জেরে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার মানহানি করা হচ্ছে। আমি কোর্টে এসেছি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছি। গায়ে হাত দেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :