আসাদুজ্জামান সম্রাট: বিশ্বের ১৬৫ টি দেশে ১ কোটিরও বেশী বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। এছাড়া মানব পাচার প্রতিরোধ ও মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ব হ্রাসে নানাবিধ শ্রমিকবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমপি এনামুল হক (রাজশাহী-৪) আসনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৪টায় এই অধিবেশন শুরু হয়।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বিদেশে যে সমস্ত প্রবাসী কর্মী আনডকুমেন্টেড (পরিচয়পত্রহীন) অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী মিশনের মাধ্যমে বৈধকরণ, আইনী সহায়তা দেয়া এবং দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। তিনি বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ, আনডকুমেন্টেড কর্মীদের বৈধতা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ব হ্রাসসহ নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশে বাংলাদেশী দুতাবাসে ৩০ টি শ্রম উইং প্রতিষ্ঠা করা, সরকারীভাবে সৌদি আরবে প্রায় ৮ লাখ, মালয়েশিয়া ২ লাখ ৬৭ হাজার, ইরাকে ১০ হাজারসহ বহু দেশে স্বল্প ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশী জেলে বা ডিটেনশনে আটকে থাকা কর্মীদের আইনী সহয়াতা দিয়ে মুক্ত করে দেশে ফেরৎ আনা, প্রয়োজনে মালিক শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যস্থতা করা, বিদেশে আটকে পড়া কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে জানান নুরুল ইসলাম বিএসসি।
মন্ত্রী জানান, শুধু মাত্র ২০১৭ সালেই সরকারী উদ্যোগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। আর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫১ হাজার ৯৮ হাজার ৯১৪ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছে। বিএনপি আমলে সর্বশেষ সময়ে ২০০৬ সালে মাত্র ৯৭ টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হতো। এমপি মনিরুল ইসলামের (যশোর-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ইন্টার্ণ প্রেরণ বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৭ জনের এটি ইন্টার্ন দল সেদেশে গিয়েছে। দ্বিতীয় ব্যচে ১৫ জনকে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :