সাইদুর রহমান: আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাইদকে জঙ্গি ঘোষণা করলো পাকিস্তান। জামাত-উদ-দাওয়া ছাড়াও যেসব সংগঠন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গি তালিকায় আছে সেগুলোও পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাক প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি বিল সংশোধন করে নতুন অর্ডিন্যান্সে সাক্ষর করেন। নতুন আইন অনুযায়ী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জঙ্গি তালিকা পাকিস্তানেও কার্যকর হবে।
নতুন আইনের আওতায় নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া,হারকত-উল-মুজাহিদিন,ফালাহ-ই-ইন্সানিয়াত ফাউন্ডেশনের মতো একাধিক সংগঠন। প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইনের সই করা অর্ডিন্যান্সের ফলে ওপরে উল্লেখিত সংগঠনগুলো অ্যান্টি টেররিজম অ্যাক্ট (এটিএ), ১৯৯৭-র আওতায় চলে আসবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের যাবতীয় সম্পদও বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। এ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিকভাবে ২৭ টি জঙ্গি তালিকা তৈরী করেছে।
এ অর্ডিন্যন্স এমন সময় করা হলো যখন ১৮ ফেব্রুয়ারী প্যারিসে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করবে আমেরিকা এবং ভারত।
উল্লেখ্য, ওই বৈঠকে পাকিস্তানকে গ্রে-ব্লকে করার কথা শোনা যাচ্ছিল। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের যৌথ চাপেই গ্রে লিস্ট করার সিদ্ধান্ত। এই তালিকাভুক্ত হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সীমান্তে লেনদেনের খরচ মারাত্মক বেড়ে যাবে পাকিস্তানের। এর আগে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানকে এই তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরবর্তী তিন বছর, এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান।
সূত্র : ডন উর্দূ
আপনার মতামত লিখুন :