জান্নাতুল ফেরদৌসী: ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি ইউনিয়নের স্কুলের ১২ শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় বাল্য বিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোনো ধরনের পুলিশি সহায়তা ছাড়াই নিজ এলাকায় বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নিয়ে এসে ব্যাপক সাড়া ফেলে তারা। সূত্র: যমুনা টিভি
স্থানীয় প্রশাসন তাদের দিয়েছে নির্দিষ্ট পোশাক ও সাইকেল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন কার্যক্রম দেশ ব্যাপি ছড়িয়ে দিলে তৃণমূল পর্যায়ে বন্ধ হবে বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অপরাধ।
গত এক মাসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধলা গ্রামের সপ্তম শ্রেণী ছাত্রী আছিয়া আক্তারসহ ১৫ জনের বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে ধলা ইউনিয়নের বাল্য বিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধের সদস্যরা।
এই দল গঠনের উদ্যোক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন, এই কার্যক্রমের কারণে বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি রোধ সহজ হয়েছে। পাশাপাশি সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ, ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন বলেন, পর্যাপ্ত পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট নেই, যে বাল্যবিবাহ হলেই সেখানে ছুটে যাবে। এই ক্ষেত্রের একটি বিকল্প বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি প্রথমেই নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে শিক্ষকমণ্ডলী, ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা প্রশাসন সংযুক্ত রয়েছেন।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন উপজেলা যদি এই উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধলা ইউনিয়নে এই কার্যক্রম সফল হওয়ায় আরো ১১টি ইউনিয়নে শিক্ষার্থীদের দল গঠন করা হয়েছে। ২০ জন্য সদস্যের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে সাইকেল ও পোশাক।
আপনার মতামত লিখুন :