শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমন মৌসুমেও নাগালে আসছে না চালের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট : আমনের মৌসুমেও চালের দাম ক্রেতার নাগালে আসছে না। এখনও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। এছাড়া মাসজুড়ে উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল সব ধরনের চালের দাম। এ সময় সব ধরনের মোটা চালের দাম কমেনি বরং মাসের ব্যবধানে ভালোমানের মিনিকেট ও নাজিরশালের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সোমবার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দৈনিক বাজারমূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

টিসিবির বাজারমূল্য তালিকায় দেখা যায়, মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দাম দেয়া আছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, যা এক মাস আগে একই সময়ে একই দাম ছিল। উত্তম মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম দেয়া আছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, যা এক মাস আগে একই মূল্য ছিল। মাঝারি মানের চালের দাম দেয়া আছে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা, যা মাসের ব্যবধানে দাম কমেনি। এছাড়া উত্তম মানের মিনিকেট ও নাজিরশাল চালের দাম দেয়া আছে ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, যা এক মাস আগে দাম ছিল ৬২ থেকে ৬৮ টাকা। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, মাসের ব্যবধানে মিনিকেট ও নাজিরশাল চালের দাম ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, চালের বাজার বেসামাল রয়ে গেছে। তবে মাসখানেক বাজার স্থিতিশীল থাকলেও উচ্চমূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমন চাল বাজারে আসার পর মোটা চালের দাম অনেক কমে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেভাবে কমছে না। সরকারের মনে রাখতে হবে, মোটা চাল গরিবের খাবার। তাই দাম বৃদ্ধি যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে ৪০ টাকার মধ্যে মোটা চালের দাম আনতে হবে। তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের একাধিক সংস্থা থাকলেও সেগুলো তেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। যার কারণে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস কমছে না। তাই ভালোভাবে বাজার মনিটরিং বাড়াতে হবে।

তবে মঙ্গলবার রাজধানীর খুচরা চালের বাজার ঘুরে টিসিবির দেয়া দামের এ চিত্রে ভিন্নতা দেখা গেছে। মালিবাগ বাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক মো. দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, কেজিপ্রতি মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৬১-৭১ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে এ চালের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকার মধ্যে। এছাড়া বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫১-৫৩ টাকায়। নাজিরশাল ৬৫-৭০ টাকা কেজি। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের মিনিকেট চাল কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারেও এক টাকাই বেড়েছে। তবে চালের বিক্রি কমে গেছে। যারা আগে মিনিকেট চাল খেতেন, তাদের অনেকেই এখন অন্য চাল কিনছেন। মিনিকেট চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিনিকেট চাল যে ধান দিয়ে তৈরি হয়, সেটি আসলে উৎপাদন হয় বৈশাখ মাসে। এখন মৌসুম শেষ হওয়ায় মিলারদের কাছে ধানের সংকট রয়েছে। তাই ধান সংকটের কারণেই দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে কারওয়ান বাজার শপিং কমপ্লেক্সের আল্লারদান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ঢাকার পাইকারি ও খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। চালের দাম মাসজুড়ে স্থিতিশীল আছে। তবে বাজারে মিনিকেট চালের সংকট রয়েছে। তাই দাম একটু বেড়েছে। বৈশাখ এলেই দাম অনেকাংশে কমে যাবে।

মালিবাগ বাজারের চাল কিনতে আসা রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত খাদ্যদ্রব্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে চালের দাম কমছে না। ভেবেছিলাম নতুন বছরে চালসহ সব ধরনের পণ্যের দাম কমবে। কিন্তু তা হল না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করে খাদ্যপণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। না হলে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনধারণ আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়