নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। সোমবার রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মজলিসে উমুমী (কাউন্সিল) অধিবেশনে তিনি এ নিন্দা জানান। বেফাকের প্যাডে সংগঠনের মিডিয়া বিভাগের আজিজুর রহমান হেলাল স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে একথা জানানো হয়।
বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব, যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না। গাড়ি চালানোর ‘অপরাধে’ অনেক নারীকে কারাভোগও করতে হয়েছে। তবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি বাদশাহ সালমান নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। সেখানে বলা হয়, প্রয়োজনীয় শরীয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে।
কাউন্সিলে শাহ আহমদ শফী উলামায়ে কেরামদের সর্বদা ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। উলামায়ে কেরামদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
হেফাজত আমির বলেন, ‘ইসলামবিরোধী চক্রান্তকারীরা সর্বদা ওঁৎ পেতে আছে, কীভাবে উলামায়ে কেরাম থেকে সাধারাণ মানুষের আস্থা সরানো যায়। এ ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ আলেমদের তাবলীগের কাজেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করার ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আহমদ শফী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল গণভবনে বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করেন কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে ও দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিগুলোকে ভিত্তি ধরে দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান দেওয়া হবে। যদিও এখন পর্যন্ত সংসদে ও মন্ত্রিসভায় তা পাস করা হয়নি।’ সংসদের এই অধিবেশনে স্বীকৃতি পাসের দাবি জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :