প্রিন্স মাহামুদ আজিম : দেশের মানুষ দীর্ঘদিন বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে থাকার পর বেগম জিয়ার রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হচ্ছে দেশের বিচারব্যবস্থা। অপরাধীকে অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। বেগম জিয়ার রায়ের মধ্য দিয়ে বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় প্রতি জনমনে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হচ্ছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বহুল প্রত্যাশিত খালেদা জিয়াসহ ছয় জনের রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় টিভিএনএ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
তিনি বলেন, বিএনপি আদালতের রায়কে ধিক্কার জানানো আদালতের প্রতি অসম্মান ও দুঃখজনক। কারণ এ রায় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক গতিতে এগিয়েছে। বেগম জিয়া যদি নির্দোষ হয়ে থাকে তাহলে তার আইনজীবীরা সেটা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে প্রমাণ করার সুযোগ থাকলেও তারা সেটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সুতরাং বেগম জিয়ার রায় নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই।
তুরিন আফরোজ বলেন, সামাজিকভাবে যার যত ভাল অবস্থান তাকে শাস্তি ততো বেশি হবে। কিন্তু বয়স ও সামাজিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিনাশ্রমে পাঁচ বছরের কারাদ- কেন দেওয়া হল সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় তিনি টিভিএনএ’র সাথে এই বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। বহুলপ্রত্যাশিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোষিত হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলায় প্রধান আসামী খালেদা জিয়াকে বিনাশ্রমে পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও অন্যদের আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত সহ দশ বছরের কারাদ-ে দন্ডিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :