শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:০০ দুপুর
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে। আগামী নির্বাচনে তিনি এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন।

সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মওদুদ এসব কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে মওদুদ বলেন, দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। আইনজীবীরা আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করবেন। একই সঙ্গে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।

কর্মসূচিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার ঘটনা তাঁর তিন গুণ জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। এ রায় শেখ হাসিনার পতনের রায়। মামলা-হামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে দমানো যাবে না।

জয়নুল আবেদীন বলেন, দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের লোকজনও বিশ্বাস করে না। এ মিথ্যা মামলার কারণে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, তৈমূর আলম খন্দকার, আবেদ রেজা, রফিকুল ইসলাম রাজা, বদরুদ্দৌজা বাদল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, রাশেদা আলম ঐশী, শরীফ উ আহমেদ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়