শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:২০ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন চলবে

মাঈন উদ্দিন আরিফ: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার দুপুরে এক ঘন্টার মানববন্ধন কর্মসূচির সমাপনি বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, শত প্রতিকুলতার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই কারাবাসের বিরুদ্ধে আপনাদের যে ক্ষোধ, আপনাদের যে হতাশা, আপনাদের বেগম জিয়ার প্রতি যে ভালোবাসা সেটা আপনারা প্রকাশ করেছেন। আজকে এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, বেগম জিয়া এদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, দেশনেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী কারাগারে যাবার আগে বলে গেছেন, আপনাদের ধর্য ধরতে, শান্ত হতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে। আমাদের এই কর্মসূচি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করবার জন্যে, আমাদের এই কর্মসূচি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যে।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তার মুক্তি আমরা চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, দেশনেত্রীকে নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে যাবো। দেশনেত্রী ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সহায়ক সরকার চাই, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করে দেশের জনগনের আশা-আকাংখার বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই আসুন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করি।

একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দা্বিতে সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি হয়। তোপখানার মোড় থেকে হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা পর্যন্ত পুরো এলাকায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নেতা-কর্মী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেনির নেতা-কর্মীরা এতে সমবেত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এ মানববন্ধনে ব্যাপক সংখ্যা মহিলা কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন।

তিল পরিমান ঠাই ছিলো এরকম পরিস্থিতির মধ্যে মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ ফুটপাতে উঠে মাইক ছাড়া বক্তব্য রাখেন।

এই মানববন্ধনে বিএনপির কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান, মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদিন ভিপি জয়নাল জয়নুল আবদিন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম আালিম, শামীমুর রহমান শামীম, নিলোফার চৌধুরী মনি, আকম মোজাম্মল হক, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, রাশেদা বেগম হীরা, আবদুল আউয়াল খান, কাদের গনি চৌধুরী, তাবিথ আউয়াল, বেবী নাজনীন, নেওয়াজ হালিমা আরজু, অপর্না রায়, নিপুর রায় চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ।

মহানগরের কাজী আবদুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, তানজীর আহমেদ রবিন, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, জাসাসে অধ্যাপক মামুন আহমেদ, শায়রুল কবির খান, শাহিনুল ইসলাম শায়লা, ছাত্র দলের মামুনুর রশীদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের এম এ মালেক, শাহ নেসারুল হক প্রমূখ নেতবৃন্দ ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের হামদুল্লাহ মেহেদি, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপা‘র খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, এনপিপি‘র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনপিযি‘র গোলাম মূর্তজা, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি প্রমূখ নেতৃবৃন্দ ছিলেন।

মানববন্ধনের এই কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কাছাকাছি রাখা হয়েছে জল কামানের গাড়িসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটি মাইক্রোবাস।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দুইদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির পর শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে তিনদিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে যার প্রথম কর্মসূচির মানববন্ধন।

আগামীকাল মঙ্গবার হবে ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান এবং পরদিন বুধবার অনশন কর্মসূচি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়