অপু উকিল : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এ যুক্তিতর্ক শেষ হলেই রায়ের দিন তারিখ ধার্য হবে। এ মামলায় বিএনপির তারেক রহমান সহ রয়েছেন আরো অন্য নেতারা । রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে। সুপরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করবার জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যা করবার পরিকল্পণা করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা মানে বাংলাদেশকেই হত্যা করা। এই হামলায় ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অল্পের জন্য বেঁচে যান।
বিশিষ্ট নারী নেত্রী আইভি রহমানও ছিলেন সেখানে। যে দল বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, সে দল কে ধ্বংস করবার জন্য, দলের প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল তারা। সেই রায়ের ব্যাপারে অবশ্যই বাঙালী জাতির প্রত্যাশা সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। পরবর্তীতে এমন যেন আর না হয়, ক্ষমতা ধরে রাখবার জন্য যেন এমন কাজ না করতে পারে, এর বিচার যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে । দেশের মানুষ তাই দেখার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে আছে।
সম্প্রতি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় হয়েছে। তারেক রহমানের দশ বছর এবং খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা হয়েছে। এসব রায় অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। তারেক রহমান চিকিৎসার নাম করে বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছেন। তার তো উচিৎ ছিল দেশে এসে মামলার মুখোমুখি হওয়া। যদি দেশে এসে আইনগতভাবে মামলার মুখোমুখি হতে না পারেন, তবে কোন যুক্তিতে এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলে মন্তব্য করেন?
বেগম খালেদা জিয়া তো ঠিক মত হাজিরাই দিতে যাননি। এই মামলার রায় অনেক আগেই হয়ে যেত। তারা এই মামলায় আদালতকে কোন সহযোগিতা করেনি, হাজিরাও দেননি। তাই এই মামলা দশ বছর সময় ধরে ঝুলে আছে। তারেক রহমান চিকিৎসার নাম করে পালিয়ে থেকে মামলার রায় পিছিয়ে নিচ্ছেন। তদন্ত হচ্ছে, রায় দিচ্ছেন আদালত। এতে তো সরকারের কোন প্রকার হাত নেই।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ
মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :