রফিক আহমেদ : তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্ল¬াহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, জাতীয় নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১২ ফ্রেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় কমিটি। শুক্রবার এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহবান জানান।
নেতৃদ্বয় সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্প বাতিল, বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ, রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ খাত রক্ষা, জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা বাস্তাবায়ন ও ফুলবাড়ীতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সারাদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালনের করা হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার নীরব থেকে দেশবিনাশী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখে চলেছে। গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধানে জাতীয় সক্ষমতার পথে নানা বিঘœ সৃষ্টি করে সরকার ব্যয়বহুল এলএনজি আমাদানি এবং এলপিজি’র উপর নির্ভরতা সৃষ্টি করছে। রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতি না ঘটিয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিশাল ঋণ ও মহাবিপদের ঝুঁকি সত্ত্বেও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। জাতীয় কমিটিসহ বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন তার কোন যুক্তিসঙ্গত গ্রহণযোগ্য উত্তর দিচ্ছে না সরকার।
নেতৃদ্বয় বলেন, দায়মুক্তি আইন দিয়ে এসব প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করা হচ্ছে। তা করতে গিয়ে সব প্রকল্পই দুর্নীতির এক একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলার পথ বন্ধ করতে, জনমত দমন করতে প্রতিটি প্রকল্প ঘিরে তৈরি করা হয়েছে নিপীড়নের জাল। দেশি-বিদেশি কিছু গোষ্ঠী এতে লাভবান হলেও বাংলাদেশের প্রাণপ্রকৃতি পরিবেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অপূরণীয় ক্ষতি এবং অর্থনৈতিক বোঝা তৈরি হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, কম ব্যয়ে, পরিবেশ সম্মতভাবে যে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান সম্ভব তা দেশের বিশেষজ্ঞ এবং জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনায় দেখানো হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে বিবৃতিতে ফুলবাড়ীতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :