তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় সাজা হওয়ার ফলে আওয়ামী লীগের স্বস্তির প্রশ্নই উঠে না। আওয়ামী লীগ স্বস্তি প্রকাশ করবে কেন? আওয়ামী লীগ তো দেশের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক সংগঠন। দলটির অভিজ্ঞতা, দেশের বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি এরকম একটি সস্তা ব্যাপারে বা একটি দুর্নীতির মামলার রায়ে সাজা হওয়ার কারণে কেউ কারাগারে গেছেন, তাতে স্বস্তি পেল আওয়ামী লীগ! বিষয়টি আসলে এমন নয়। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলছে, এদেশের গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করাই সংগঠনিটর অন্যতম একটি লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে ৫ বছরের কারাদ- হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। এই রায়ে এটা আবারও প্রমাণিত হলো যে, কোনো ব্যক্তিই আইনের ঊর্ধ্বে নন। অনিয়ম-দুর্নীতি করলে বিচারের মুখোমুখি একসময় হতেই হবে। এখানেও সেটাই হয়েছে।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, আমিরা জানি, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন যেন তাদের বিচার করা না যায়। তখন আমরা স্বাধীনতার পক্ষের মানুষেরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। বলেছিলাম, জাতির জনকের হত্যার বিচার একদিন হবেই হবে। সেই বিচার হয়েছে। একাত্তরে যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর ছিল, মানুষের ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, হত্যাযজ্ঞ চালানোসহ নানা মানবাধিকার বিরোধী কাজে সহায়তা বা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে না বলা হচ্ছিল, কিন্তু সেটা কি বন্ধ করা গেছে? যায়নি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে, বহু প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য গণতন্ত্র বিরোধীদের ‘বিষ’ তুলে ফেলতে হবে। জামায়াত একটা বিষাক্ত ‘বিষ’। জামায়াতের ‘বিষ’ খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে গণতান্ত্রিক নিয়মে, আইন-আদালতের বিচারের মাধ্যমে। আর রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি, অন্যায় করেছেন, সে যে কোনো দলেরই হোক না কেন, কেউ ছাড় পাবে না এই রায় সেই বার্তাই দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন সেটা করার। তার সততা তো এখন বিশ্বস্বীকৃত। সততা দিয়েই তিনি চেষ্টা করছেন দেশকে পরিচালিত করতে, সুষম উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে।
আপনার মতামত লিখুন :