রাজেকুজ্জামান রতন : ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ছাত্রলীগের যত নেতা কর্মী আছে তাদের অনেকেই মাদক ব্যবসা করছে। এই মাদক ব্যবসায়িদের নাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি তালিকায় আছে। এই মাদক ব্যবসার তলিকায় দেখা গেছে, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের আছেন ১০ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন, ধানমন্ডি থানা শাখার আছে ২ জন। এরা সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। কোন পত্রিকায় কোন খবর প্রকাশিত হয়, তখন আমরা সাধারন মানুষ এ খবর থেকে বিশ্বাস করে থাকি।

সরকারের দায়িত্ব হয়ে যায় পত্রিকার এই খবরটি খুঁটিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কোন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে আমাদের দেশের সরকার যদি চুপ থাকে তাহলে বুঝতে হবে সরকার এর সাথে জড়িত আছে। তেমনি মাদকদ্রব্য নিয়ে পত্রিকায় প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি সরকারের সাথে যুক্ত যেসব নেতাকর্মীরা আছে, তারা এই মাদক দ্রব্য ব্যবসায়ে জড়িত আছেন। এই ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন বিভিন্ন এমপিরা এবং বিভিন্ন ছাত্র নেতারা।

এটা থেকে বোঝা যায়, সরকার ক্ষমতায় থাকলে কিভাবে মাদক ব্যবসা ও দুর্নীতি খুব সহজে করা যায় এবং নিরাপদভাবে করা য়ায়। বতর্মানে মাদক দ্রব্য ব্যবসার সাথে জড়িত নেতাকর্মীদের নাম পত্রিকায় এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এই মাদক ব্যবসার সাথে যে সব ছাত্র লীগ নেতাকর্মীরা জড়িত আছে এবং যেসব এমপিরা জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

সরকার বলেন, আমরা মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব কিন্তু সেটিতে সঠিকভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। এজন্য আমাদের দেশে মাদকের ছড়াছড়ি হয়ে যাচ্ছে। সরকার দলীয় লোকেরাও জড়িত, আশ্রয় কোথায়? এখন বর্তমানে সুনির্দিষ্টভাবে এদের নাম তালিকায় এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

পরিচিতি : কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, বাসদ
মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ