হাসান : শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এ বছরই দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পন্ন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কলম্বোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদ-উল্লাহ।
“শ্রীলংকার উন্নয়ন কৌশল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মন্ত্রণালয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ, ধরন এবং সম্ভাব্য খাতগুলো নিয়ে যৌথ জরিপ চালানো হচ্ছে এখন।”
কলম্বোর ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত শ্রীলংকা বাংলাদেশ বিজনেস কো-অপারেশান কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনায় তিনি বলেন, “এই জরিপ হয়ে গেলেই আমরা যৌথভাবে চুক্তির খসড়া তৈরির সুপারিশ করবো।”
প্রস্তাবিত এফটিএতে সেবাখাতকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, পণ্যকে নয়। এবং এটাকে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের সাথে সংযোগ স্থাপনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেরও অনেক বেশি কিছু হবে এটা।”
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের উপর মনোযোগ রেখে আরো বড় বাজার সৃষ্টির জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়ে হামিদুল্লাহ বলেন, এফটিএ এই ধরনের অংশীদারিত্বকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বস্ত্র, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নির্মাণ খাতে যৌথ প্রকল্প চালুর সময় এসেছে। কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থাপনের মাধ্যমে বস্ত্র শিল্প বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের সাথে যুক্ত হতে পারবে। একই সুবিধা পাবে তথ্য প্রযুক্তি খাতও।”
হাইকমিশনার এফটিএ’র জন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সুপারিশও আহ্বান করেন।
দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক শুধু এখানকার বাজারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের সাথেও সেটা যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মানচিত্র ও ভৌগলিক মানচিত্রের সাথে আরও বেশি যুক্ত হচ্ছে। এতে করে আঞ্চলিক বাজারের সাথে যুক্ত হওয়া আরও সহজ হয়ে গেছে।”
হামিদু্ল্লাহ বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক এবং শ্রীলংকার বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যে সুবিধা দিয়েছে, সে কারণে শ্রীলংকা বিনিয়োগ-বিষয়ক অংশীদারিত্বের জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, মংলা বন্দরে এলএইউজিএফএস গ্যাস (বাংলাদেশ) লিমিটেড যে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, সেটা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশে শ্রীলংকার বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :