শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘খালেদা জিয়ার নির্দেশে অনুদানের টাকা এতিমখানায় গেছে’ (ভিডিও)

ফারমিনা তাসলিম: প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ও হিসাব রক্ষকসহ কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাক্ষ্য ও তাদের সরবরাহ করা নথির ভিত্তিতে জিয়া এতিমখানা মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেন আদালত। সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সৈয়দ জগলুল পাশা আদালতকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে সৌদি আরব থেকে আসা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হয়ে অনুদানের টাকা ৬ মঈনুল রোডে প্রতিষ্ঠিত এতিমখানায় গেছে।

২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর কুয়েত থেকে টাকা এসেছে বলে আদালতে দূতাবাসের সত্যায়িত চিঠিটি হাজির করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সেখানে মোহাম্মদ আলীকে সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। কোন টাকার অংক, তারিখ বা ব্যক্তির উল্লেখ না করে অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেবল। আর এতে স্বাক্ষরকারীর কোন নাম, পদ নেই। আদালত বিএনপিতে এ্যাটর্নি জেনারেলের কোন পদ আছে কিনা কিংবা স্বাক্ষরকারীর কোন নাম, পদ কি তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছ থেকে।

১০ বছর ধরে চলা মামলায় সাক্ষী ছিলেন ৩২ জন। প্রবাসে থাকা কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী নিজের হাতে লেখা পত্রে বলেছেন, ‘আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন যে প্রধানমন্ত্রীর অরফানেজ ফান্ড থেকে জিয়াউর রহমানের নামে ট্রাস্টের কাছে টাকা বরাদ্দ হবে, অথচ সেটা বেগম খালেদা জিয়া জানবেন না। যখন তিনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতির সহধর্মীনি। আমি আপনাকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রীর অরফানেজ ফান্ড সংক্রান্ত আমার দ্বারা সম্পাদিত সকল কর্মকান্ড প্রধানমন্ত্রীর লিখিত অনুমতি নিয়েই হয়েছে।

তহবিল তফসিলের সাথে সংশ্লিষ্টতার দায়ে পলাতক কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর ১০ বছরের জেল হয়েছে। আর কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সৈয়দ জগলুল পাশা আদালতের দেওয়া বক্তব্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সচিবের নির্দেশমতে তার অনুমোদন গ্রহণ করে এতিম তহবিলের এফডিআরকৃত টাকা ভাংগিয়ে উক্ত অর্থ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীর হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আব্দুল বারিক ভূঁইয়া বলেছেন, ১৯৯৩-৯৪ সালে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ত্রাণ তহবিল, স্বেচ্ছাধীন তহবিল, গোপনীয় তহবিল ও এতিম তহবিলের দায়িত্বে ছিলাম। এই রেজিষ্ট্রার, যেখানে টাকা সোনালী ব্যাংকের এতিম তহবিল থেকে তোলা হয়েছে, তা তার নিজের হাতের লেখা বলেও জানান খালেদা জিয়ার হিসাব রক্ষক।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, বগুড়ায় এতিমখানা করার জন্য মঈনুল রোডের ট্রাস্ট গঠন করেছিল তারেক রহমান। ট্রাস্ট আইনের ৫ ধারায় উল্লেখ আছে, এতিম, অসহায় বা জনকল্যাণে গঠিত ট্রাস্টে স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি দান করে সেটেলার ট্রাস্ট গঠন করবেন। তারেক রহমান ট্রাস্টের চুক্তিতে ১ লাখ টাকা দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিলেন। সে টাকা কখনো জিয়া এতিমখানার তহবিলে জমা হয়নি বা জমিও অনুদান হিসেবেও দিতে পারেননি তারেক রহমান। সূত্র: ৭১ টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়