হ্যাপী আক্তার : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এবং তার পুত্র ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে, এর ফলে নেতৃত্বে এক ধরনের শুন্যতার আশঙ্কা করছেন সিলেটের শাহজালালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক দিলারা রহমান। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, দলের যে কর্মীরা থাকেন তারা রাজনৈতিক দলের প্রাণ। নেতরা যদি কারাগারে বা বিদেশে থাকেন তাহলে এধরনের শূণ্যতায় কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতা দেখা দেয়।
দিলারা রহমান বলেন, তারেক রহমান রয়েছেন লন্ডনে। সেখান থেকে তিনি কর্মীদের সাথে কাকে কি করতে হবে, কোন ধরণের কথা বলতে হবে তার একটি দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। রাজনৈতিক কর্মীদের সাথে তিনি যোগাযোগ রাখবেন কিভাবে। কি ধরনের নির্দেশনা আসবে, কি করা উচিত বর্তমান অবস্থার জন্য সেখানে এক ধরনের প্রশ্ন থেকেই যায়। এটা এক ধরনের সমস্যা।
তারেক রহমানের যে দল ও নেত্রীবৃন্দের ওপরে তার নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব সম্পর্কের দিলারার বক্তব্য হচ্ছে যে প্রভাবের কথা বলা হচ্ছে এমন প্রভাব সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই রয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সবসময় ছোট পরিসরে আটকে রেখেছে তারা। কখনোও নেতৃত্বকে ছড়িয়ে দিতে চায়নি। সে কারণেই হয়তো রাজনৈতিক টানাপড়েনের জন্য দলকে সামনের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য নেতৃবৃন্দ নেই। সে কারণেই বেগম খালেদা জিয়া যখন থেকে কারাগারে তখন থেকেই চিন্তা, আসলে বিএনপির কি হবে।
তারেক রহমান কি করতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে দিলারা বলেন, তারেক রহানের সামনে কিইবা করার আছে, তিনি লন্ডনে। তার বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক অনেক মামলা রয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে সেখানেও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। সেখানে তারেক রহমান দেশে আসলে তাকে গ্রেফতার করতে পারবে। তাহলে তিনি আসবেন কিভাবে, তার বিরুদ্ধে তো গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এই বিষয়টি এক ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে বিএনপির মধ্যে। লন্ডনে বসে একটি দল পরিচালনা করা সম্ভব না।
দিলারা বলেন, নেতাদের সবসময় উজ্জীবিত রাখতে হয় এবং তাদের যে সংযোগ সব ধরনের যোগাযোগ তাদের সাথে রাখতে হয়। সিগনালগুলো যেটা যাবে সাথে সাথে এইটা কর, আমাদের অবস্থান ও এই ধরনের ভূমিকা কি ধরনের কার্যক্রম করা উচিত এবং তার সাথে কর্মসুচি নেওয়া উচিত সেটা লন্ডন থেকে বা যে কোনো জায়গা থেকে দল পরিচালনা করা সম্ভব। কারণ এখন যে কোনো পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে যে কোনো ভাবেই।
আপনার মতামত লিখুন :