তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে বিএনপি থাকবে কিনা সেটাই সন্দেহ। জেলে থেকে খালেদা জিয়া প্রভাব বিস্তার করতে পারবে কিনা সেটাই লক্ষণীয়। তারেক জিয়ার পক্ষেও দেশের বাহিরে থেকে সঠিকভাবে দলের নেতৃত্ব¡ দেয়া কঠিন। তবে তারেক জিয়ার পক্ষে যারা আছে তারা দলের জঙ্গি অংশ। যতদিন খালেদা-হাসিনা থাকবে ততদিন ঝগড়া-ঝাটি ব্যাপকভাবে হবে। বিএনপির মধ্যে-ই অনেকেই চায় না হাসিনার সাথে ঝগড়া করতে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগেরও বিএনপির প্রয়োজন রয়েছে। সেটা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হোক বা অন্য কারো নেতৃত্বে হোক। জাতীয় পার্টির কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এই চার বছর আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে বিএনপি। বিএনপি তালি দিচ্ছে, ধরছে, শত্রুতা তৈরি হচ্ছে। আর শত্রু তৈরি হলেই মানুষ নিজেকে তৈরি করতে পারে। সেই দিক থেকে হয়তো বিএনপি থাকবে না। পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের যে ঘনিষ্ঠতা তাতে বোঝা যাচ্ছে, রাষ্ট্রের কিছু অংশের একত্রকরণ ঘটছে। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যখন পুলিশকে না ডেকে ক্যাডারকে ডাকছিলেন তখন তিনি স্বীকৃতি দিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। পুলিশের আর ছাত্রলীগের ভূমিকা দুটোই কাছাকাছি। দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক শক্তি আর প্রশাসনিক শক্তি ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে উগ্রবাদ নেই। আমাদের সমাজে কোনো জাতীয়তাবাদী সমস্যা নেই। জাতীয়তাবাদ সমস্যা না থাকলে সমাজে উগ্রবাদের ভিত্তি থাকে না। আমাদের দেশে যে উগ্রবাদ আছে, তার কোনো মাটি নেই, এটা কচুরিপানার উগ্রবাদ। কচুরিপানার উগ্রবাদ পুলিশ-র্যাব ধ্বংস করে দিয়েছে। যে উগ্রবাদ মাত্র তিন মাসেই সমাধান করা যায়, তাকে গুরুতর উগ্রবাদ বলা যায় না। আমাদের দেশে উগ্রবাদের ভিত্তি নেই।
আপনার মতামত লিখুন :