শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৫:১৪ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৫:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘নির্বাচনের  বছরে এমন রায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গেছে’

মেহেদী হাসান : প্রধান বিরোধী দলের যেকোন সময় বিচার করা হয়, তখন তা রাজনৈতিক বিচার হয়ে যায়। সুতরাং এই রায়টা একটি রাজনৈতিক রায়। নির্বাচনের  বছরে এমন রায় হওয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া যদি জামিন না পায়, আর তারেক জিয়া তো দেশের বাহিরে, তার মানে দলের মধ্যে ভাঙার আশঙ্কাও থাকতে পারে। দলের যারা নরম মনমানসিকতার রয়েছে তারা তারেকের তেমন কাছের না। এটা বিএনপির জন্য সংকট, তবে দলের ভাবমূর্তির জন্য প্রভাব পড়বে না। খালেদা জিয়া জেলে থাকলে নির্বাচনে দলের কোন ক্ষতি হবে না। তবে শেখ হাসিনাকে লড়াই করে জিতা যায় না, মেধা দিয়ে জিততে হয়। খালেদা জিয়ার রায়ে রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলাপকালে বিশিষ্ট সংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনে বিএনপি থাকবে কিনা সেটাই সন্দেহ। জেলে থেকে খালেদা জিয়া প্রভাব বিস্তার করতে পারবে কিনা সেটাই লক্ষণীয়। তারেক জিয়ার পক্ষেও দেশের বাহিরে থেকে সঠিকভাবে দলের নেতৃত্ব¡ দেয়া কঠিন। তবে তারেক জিয়ার পক্ষে যারা আছে তারা দলের জঙ্গি অংশ। যতদিন খালেদা-হাসিনা থাকবে ততদিন ঝগড়া-ঝাটি ব্যাপকভাবে হবে। বিএনপির মধ্যে-ই অনেকেই চায় না হাসিনার সাথে ঝগড়া করতে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগেরও বিএনপির প্রয়োজন রয়েছে। সেটা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হোক বা অন্য কারো নেতৃত্বে হোক। জাতীয় পার্টির কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এই চার বছর আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে বিএনপি। বিএনপি তালি দিচ্ছে, ধরছে, শত্রুতা তৈরি হচ্ছে। আর শত্রু তৈরি হলেই মানুষ নিজেকে তৈরি করতে পারে। সেই দিক থেকে হয়তো বিএনপি থাকবে না। পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের যে ঘনিষ্ঠতা তাতে বোঝা যাচ্ছে, রাষ্ট্রের কিছু অংশের একত্রকরণ ঘটছে। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যখন পুলিশকে না ডেকে ক্যাডারকে ডাকছিলেন তখন তিনি স্বীকৃতি দিচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। পুলিশের আর ছাত্রলীগের ভূমিকা দুটোই কাছাকাছি। দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক শক্তি আর প্রশাসনিক শক্তি ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে উগ্রবাদ নেই। আমাদের সমাজে কোনো জাতীয়তাবাদী সমস্যা নেই। জাতীয়তাবাদ সমস্যা না থাকলে সমাজে উগ্রবাদের ভিত্তি থাকে না। আমাদের দেশে যে উগ্রবাদ আছে, তার কোনো মাটি নেই, এটা কচুরিপানার উগ্রবাদ। কচুরিপানার উগ্রবাদ পুলিশ-র‌্যাব ধ্বংস করে দিয়েছে। যে উগ্রবাদ মাত্র তিন মাসেই সমাধান করা যায়, তাকে গুরুতর উগ্রবাদ বলা যায় না। আমাদের দেশে উগ্রবাদের ভিত্তি নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়