কাবেরী মৈত্রেয় : কোন ব্যক্তি বেআইনী প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বা বিধিবদ্ধ কোন সংস্থার অতিগোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিডিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারন, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেই কাজ হবে কম্পিউটার বা ডিটিটাল গুপ্তচর বৃত্তির অপরাধ।
আর এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হবে। কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বার বার করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।"
মন্ত্রী সভায় পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ নম্বর ধারার এই অপরাধ আমি আমার সাংবাদিকতা জীবনে বহুবার করেছি। যেহেতু আমি আমার অনেক সহকর্মির মতো এই পেশা এখনো ছেড়ে যাইনি, বিদেশে পাড়ি দেইনি। যেহেতু আগামী দিনগুলোতেও সাংবাদিকতা করেই যেতে চাই, সেহেতু আমি নিজেকে আইনের ভাষায় গুপ্তচর হিসেবে ঘোষণা করলাম।
আজ থেকে শুরু হোক – আমি গুপ্তচর শ্লোগানের আন্দোলন। আসুন স্বঘোষিত এই গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করুন এবং সাংবাদিকতার গলাটিপে হত্যা করার মিশনে সফল হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমি গুপ্তচর!
পরিচিতি : স্টাফ রিপোর্টার, একাত্তর টেলিভিশন/ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :