আশিক রহমান : বিচারক তার বিবেক, আইনের ধারা অনুসরণ করে রায় দিয়েছেন। তবে রায় দেওয়ার আগে কারও সঙ্গে তার আলাপ-আলোচনা হয়েছে কিনা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এ সম্পর্কে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিচার রায় দিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া রায় মেনে নিয়ে পরবর্তী যে আইনী পদক্ষেপ রয়েছে তা তিনি গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি। রায়টি যেহেতু খুব ভালোভাবে পড়িনি তাই বিস্তারিত বক্তব্য দেওয়া খুব কঠিন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রাপ্ত টাকা তহবিল তসরুফ হয়েছে কিনা। গণমাধ্যমে যা দেখেছি, তহবিলে যত টাকা ছিল তা দ্বিগুণ হয়েছে। তাহলে তহবিল তসরুফ হলো কোথায়? সাধারণ মানুষ প্রশ্নটির উত্তর খুঁজবে। এসব বিষয় নিশ্চয়ই উচ্চতর আদালত বিবেচনায় নিবেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি কোন সরকারের আমলে, কে করেছে সেটা বড় কথা নয়। আইনের এত মারপ্যাঁচ আমি বুঝি না। তবে আমার কাছে যে জিনিসটি মনে হয়, একজন প্রধানমন্ত্রীর এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও একটা অরফানেজের আড়াই কোটি টাকা তসরুফের যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তা প্রমাণিত হয়নি। অন্তত পত্রপত্রিকার মারফতে সেরকম কোনো পাওয়া যায়নি, এভাবেই বিষয়টি দেখে সাধারণ মানুষ। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ হতে পারত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কিনা।
বেগম খালেদজা জিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন যে, নেতাকর্মীরা যেন বিশৃঙ্খলা না করে, এটা সমর্থন করি আমি। একই সঙ্গে বলব যে, বিএনপি নেতাকর্মীরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে পারে, প্রতিবাদ করতে পারে সে অধিকার সরকারকে দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :