শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০৬ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনী প্রচার ও সাংগঠনিক শক্তি বেগবান করবে সরকারি দল

ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে আপাতত কম কথা বলার পক্ষে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। দুর্নীতিবাজ ও দণ্ডিত ব্যক্তির রাজনীতি করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার প্রচার চালাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এ জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা সফর আরও জোরদার করা হচ্ছে। এ সফরের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিএনপির দুর্নীতি আর সরকারের উন্নয়ন জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করলেও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেননি। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এ রায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিষয় নয়। বিষয়টি আদালতের। তাই, আওয়ামী লীগ উচ্ছ্বসিত হয়ে বেশি কিছু বলতে নারাজ। তবে এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, দুর্নীতি করলে কেউ পার পাবেন না। দলটির নীতিনির্ধারণী মহল মনে করছে, খালেদার সাজা হলেও জামিনে বের হয়ে আসবেন তিনি। ফলে বের হয়ে আসার পরে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া বুঝে পাল্টা প্রতিক্রিয়া প্রদান করবেন সরকারি দলের নেতারা। খালেদা জেলে থাকা অবস্থায় বিচারিক ব্যাপার বলেই গণ্য করতে হবে। তবে জেল থেকে তিনি বের হয়ে এলে, তার দণ্ড ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে জনমত তৈরির কাজ করতে হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ জেলা সফর শুরু করেছে। এখন আরও জোরদার করা হচ্ছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি মাগুরা, ১৬ ফেব্রুয়ারি খুলনায় প্রতিনিধি সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় সরকারের উন্নয়ন ও বিএনপির দুর্নীতির বিষয়টি জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করাই প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী লীগের। জেলা সফরে তুলে ধরা হচ্ছে সরকারের টানা নয় বছরের উন্নয়ন এবং বিপরীতে বিএনপির দুর্নীতি-লুটপাট ও সন্ত্রাসের চিত্র। ইতিমধ্যে জেলা ও বিভাগীয় জনসভা করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন তিনি। আগামী অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ প্রায় প্রতিটি জেলা সফর করবেন বলে জানা গেছে। যেসব জেলায় যেতে পারবেন না, তাদের গণভবনে ডেকে কথা শুনবেন দলীয় প্রধান। নির্দেশনা দেবেন। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কৌশলে এগোবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্ব বাড়ানো হবে দল ও সরকারের অর্জনগুলোর। আওয়ামী লীগ নেতাদের আশা, দেশবাসী আর কখনই দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতায় আনবে না। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে মনোযোগ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে সরকারি দলটির একাধিক নেতা জানান, একাদশ নির্বাচন পর্যন্ত দিবসভিত্তিক নানা কর্মসূচি এবং সরকারবিরোধী যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম প্রতিরোধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজপথে থাকবে। এতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত থাকবে এবং আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে ভূমিকা রাখবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং নির্বাচনের আগে বিএনপি রাজপথ দখল করুক তা চায় না আওয়ামী লীগ। মাঠে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে দলটি।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য আমাদের হাতে এক বছরেরও কম সময়। এ সময়ের মধ্যে আমরা সারা দেশে নেতা-কর্মীদের আরও চাঙ্গা এবং সরকারের উন্নয়ন-অর্জনগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে সফর করছি। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-লুটপাট দুর্নীতিগুলো জাতির সামনে তুলে ধরছি। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা দিয়েছে আদালত। আমরা মামলাও করিনি, রায়ও দেইনি। এতে আমাদের উৎসাহ নেই, আফসোসও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নই হবে আমাদের হাতিয়ার। দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, আশা করি জনগণের ভোটে আমরা আবারও ক্ষমতায় আসব।’ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়েছেন। বিএনপির দ্বিতীয় নেতাও দণ্ডিত। তিনি পলাতক। বিএনপি মানেই দুর্নীতি-লুটপাট আর মানুষ খুন— এটি প্রমাণিত। অপরদিকে এ মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সততা, দক্ষতায় দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জন্য দেশবাসী একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকাকেই বেছে নেবে। কোনো দুর্নীতিবাজকে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী বানাবে না।’

আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের বার্তা নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় সফর শুরু করেছি। পাশাপাশি বিএনপির লুটপাট-দুর্নীতির চিত্রও তুলে ধরব। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়