উপল বড়ুয়া: গত শুক্রবার বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর হাজার হাজার সমর্থক ও কর্মীদের রাস্তায় নামার ফলে অচল হয়ে গিয়েছিল খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মার্দান জেলা। তাদের এই রাস্তায় নামার কারণ ছিল ৩১ জন অপরাধীদের মুক্তির জন্য পাকিস্থান সরকারকে চাপ দেয়া। এই ৩১ জন অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আব্দুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয় মার্দানের ছাত্র মাশাল খানকে নৃশংসভাবে হত্যা করার। মাশাল খান ধর্মীয় নিন্দার কারণে ভুলভাবে অভিযুক্ত ছিল। যার ফলে তাকে ২০১৭ সালের এপ্রিলে আইন বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়।
অপরাধীদের মুক্তির জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের পর পাকিস্থানের তাহাফ্ফুজ খাতিম-ই-নবুয়াত সংস্থা, জামাত-ই-ইসলামি এবং জামিয়াত ওলেমা-ই-ইসলাম-ফজল নামের ধর্মীয় গোষ্ঠীর হাজার হাজার সদস্য একতাবদ্ধ রাস্তায় নেমে নেমেছিল এই বিচারকে প্রতিহত করতে। তাদের সাথে সাধারণ লোকজনও যোগ দিয়েছিল।
মিছিলের সময় তাদের ব্যানারে লেখা ছিল ‘মাশাল সমর্থকরা, পারলে আমাদের থামাও। এই সময় তারা মাশাল সমর্থক ও সরকারের বিরুদ্ধে সেøাগান দিচ্ছিল। এই বিক্ষোভের নের্তৃত্বে ছিলেন তাহাফ্ফুজ খাতিম-ই-নবুয়াতের নেতা ক¦ারি ইকরাম হক। আদালতের যাবজ্জীবন থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আজমল মেয়ারসহ বিভিন্ন আসামী এই এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছে। এই সময় তারা মুসলিম যোদ্ধাদের (স্বাগতম গাজী) আহ্বান করেন লড়াইয়ের।
মিছিল শুরু হয়ে পাকিস্থানের চক হয়ে কলেজ চক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় কাটলং চকের কাছে। এই মিছিলের ফলে ট্রাফিক জ্যামের কবলে পড়ে ঐ এলাকা। ডন
আপনার মতামত লিখুন :