শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনের আগে আ.লীগ চায় না বিএনপি রাজপথে কর্তৃত্ব করুক

ফারমিনা তাসলিম: জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়ার ফলে তারা দুইদিনের কর্মসূচি দিয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিবিসির সংবাদদাতা কাদির কল্লোল জানান নির্বাচনের আগে বিএনপি রাজপথ দখল করুক সেটা চায় না আওয়ামী লীগ। প্রতিটা মাঠে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ড হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে দুইদিনের পূর্ণবিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই রায়কে আইনগত ও রাজনৈতিক দুইভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানালেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দুইদিনের কর্মসূচি আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এর মাধ্যমে বিএনপি ঠিক কি ধরনের প্রভাব ফেলতে চাইছে ?

জবাবে কাদির বলেন, বিএনপি আসলে তাদের দলের নেত্রীর পক্ষে সহানুভূতি বা জনসমর্থন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। সে কারণে তারা অন্য কোন ধরনের কর্মসূচিতে না গিয়ে শুধু বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে। একই সাথে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখতে চাচ্ছে। যেহেতু দলটির নেতা মনে করছেন খালেদা জিয়ার মামলাকে কেন্দ্র করে তাদের নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়েছে এবং সেটাকে ধরে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পরও তাকে যখন জেলে পাঠানো হয়েছে বিএনপি তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই, এমনটাই দলের নেতারা অনেকে মনে করছেন। তারা আবার এজন্য সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান বা দমন নীতির অভিযোগ করছেন। তাছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলনে যে সহিংস রূপ নিয়েছিল এবার বিএনপি সেই ধরনের দায় নিতে চাই না বলে মনে হয়েছে। সেই কারণে মানুষকে সম্পৃক্ত করে এই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে তারা এগুতে চাইছে। আর বিএনপি নেতারা মনে করছেন সাজা হলেও রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে গেলে অল্প সময়ের মধ্যে তাদের নেত্রী জামিনে মুক্তি পেতে পারে, তারা এমন ধারণাও করছেন। ফলে তারা সেই ধরনের কর্মসূচি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যাতে আরো বেশি মানুষ সম্পৃক্ত হয়। তবে তাদের কাছে এখন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে তাদের নেত্রী আসলে নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত অংশ নিতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েই তারা চিন্তিত সেটাই মনে হয়েছে বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে।

যে রায়টি হলো চেয়ারপারসনের ৫ বছরের কারাদন্ড। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীও বটে তো এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে ?

জবাবে কাদির বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা অচলাবস্থার দিকে টেলে দিচ্ছে বলা যায়। এখন রাজনৈতিক সমঝোতার জায়গা অনেকটা সংকুচিত হয়েছে। এবার অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন করার ব্যাপারে সরকার বা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর যেমন একধরনের চাপ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বলা যায় এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারেও বিএনপির দলের ভিতর থেকে বিএনপির ওপরও চাপ রয়েছে । যদিও তারা এখন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার দাবির কথা বলছে। কিন্তু প্রধান দুই দলের মধ্যে এতটাই বহিসম্পর্ক যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলা হলেও অংশগ্রহণে এখনো অনিশ্চিয়তায় রয়েছে। এই অনিশ্চিয়তার মধ্যে সেখানে সমঝোতা করা বা টানাপোড়ানটা কমিয়ে আনার ব্যাপারে দুই দলের মধ্যে চাপ বাড়ছিল। এখনকার পরিস্থিতি দুই দলের ওপরে সমঝোতা বা টানাপোড়ানের জায়গাটা কমিয়ে আনার বিষয়টা অনিশ্চিয়তার দিকে টেলে দিচ্ছে সেটাও বলা যায়।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনিশ্চিয়তা আরো বেড়েছে। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি বলছে, আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচিও তারা দিবে। এটি মোকাবেলা করবার জন্য সরকার এই বিষয়টিকে এখন কিভাবে নিবে ?

জবাবে কাদির বলেন, সরকার একদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবেও মাঠে থাকছে। দলটির নেতাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখতে চাইছে। কারণটা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনের আগে দেখা যায় প্রধান দলগুলো নিজেদের পক্ষে রাজপথে কর্তৃত্ব রাখার চেষ্টা করে। যদিও আওয়ামী লীগের ওপর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার একটা তাগিদ রয়েছে। কিন্তু এমন প্রেক্ষাপটে হয়তো অন্যদলকে কিছুটা রাজনৈতিক সুবিধায় ছাড় দিবে। আবার নির্বাচনের আগেই রাজপথের কর্তৃত্ব বা দখল বিএনপির হাতে যাক সেটা আওয়ামী লীগ চায় না। ফলে আওয়ামী লীগ প্রতিটা মাঠে তাদের নেতাকর্মীদের সক্রিয় বা রাজনীতিতে অবস্থান রাখার জন্য সেই চেষ্টা আওয়ামী লীগের দিক থেকে থাকছে এমনটা মনে হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়