ডেস্ক রিপোর্ট: মালদ্বীপের রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলবৃহস্পতিবার দেশটিতে পৌঁছেছে। মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম সান অনলাইন এ তথ্য জানায়।
ইইউ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন যুক্তরাজ্য ও জার্মানির প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিরোধী দলগুলোর নেতাদের মধ্যে রয়েছেন নর্থ হেনভেয়েরু’র এমপি আব্দুল্লাহ শহিদ, জুমহুরি পার্টির এমপি আব্দুল্লাহ রিয়াজ এবং মাদুভারি এম মোহাম্মদ অমিত।প্রতিনিধি দলটি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে।
মালদ্বীপের চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই ইইউ প্রতিনিধি দল দেশটিতে পৌঁছাল। দেশটির রাজনৈতিক সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও শ্রীলংকা উদ্বেগ জানিয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া একটি ঐতিহাসিক আদেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। জরুরি অবস্থা জারির পর মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আইনে কঠোরতা আনা হয়। গ্রেফতার হন প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদ ও বিচারপতি আলি হামিদ। শুরু থেকেই সংকট নিরসনের ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আসছে মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে মালদ্বীপ সরকারের অস্বীকৃতিকে ‘বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করা হয়। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মালদ্বীপে চলমান ঘটনাপ্রবাহে কড়া নজর রাখছে ভারত। আর চীনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে বহির্বিশ্ব হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন চীন ও সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ। দুই দেশই মালদ্বীপে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেনগুলোর নিকটে অবস্থানের কারণে চীনের কাছে মালদ্বীপের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। অন্যদিকে মালদ্বীপে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে চায় ভারত। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
আপনার মতামত লিখুন :