ড. দেলোয়ার হোসেন : মালদ্বীপ একটি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র। একটি গ্রামের মতোই বলা চলে। তাই একটি গ্রামের ভেতরে কি চলতেছে, সেটি নিয়ে বড় দেশগুলোর তেমন কিছু আসে যায় না। তবে এটি ঠিক দেশটিতে অনেক দিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। খুবই সহিংসতা ও নিম্নগামী রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেহেতু দেশটিতে দীর্ঘদিন স্বৈরাচারি শাসন ছিল, ফলে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরি হয়নি। মালদ্বীপে যা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
ছোট একটি রাষ্ট্রের ভেতরে ক্ষমতার দ্বন্দ বা রাজনীতির নামে যে অসভ্যতা কতটুকু নিচে যেতে পারে তা অবিশ্বাস্য। ২০১৮ সালে মুসলিম একটি ছোট দেশে এমন অস্থিরতা অগ্রহণযোগ্য। তাদের কারণে অন্য দেশে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। কারণ, প্রতিটি দেশের নিজস্ব একটি ধারা আছে। বিশ্বের রাজনীতি এখন এমন পর্যায়ে আছে, এক দেশ অন্য দেশকে প্রভাবিত করার মতো পরিস্থিতি নেই। গত পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতায় যা বলা যায়, কোনো দেশের সমস্যা বা ভালো মন্দ অন্য দেশকে প্রভাবিত করছে হয়তো।
কিন্তু মালদ্বীপের সমস্যা বর্তমানে কোনো দেশকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না। তাদের রাজনৈতিকও কোনো শক্তি নেই। তবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে আমরা তাদের এই পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারি। সে দেশের সাধারণ জনগণের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারি।
এতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসিদের উপর একটু প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে তাদের দেশে প্রচুর ট্রুরিষ্ট আসে। সেখানে একটি প্রভাব পড়তে পারে। এতে করে তাদের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে। তাই মালদ্বীপের পলিটিক্যাল লিডারদের ঘৃণা করা ছাড়া আর কোনো কিছু করার নেই।
পরিচিতি : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :