শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:১৫ রাত
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আধুনিক পাবলিক টয়লেটে স্বস্তি পথচারীদের

ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীতে ক্রমাগতভাবে বদলে যাচ্ছে পাবলিক টয়লেটের চেহারা। যুক্ত হচ্ছে আধুনিক সরঞ্জাম। আগে যেখানে দুর্গন্ধ আর নোংরা পরিবেশের কারণে প্রবেশ করাই দায় ছিল। সেখানে এখন দুর্গন্ধ নেই বরং পাওয়া যাচ্ছে সুবাস। চারদিকে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। ভেতরটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ঝকঝকে-তকতকে। মাথার উপরে ঘুরছে সিলিং ফ্যান। রাজধানীর নবনির্মিত পাবলিক টয়লেটের এমনই চিত্র এখন চোখে পড়ছে। সর্বোপরি পাবলিক টয়লেটে এখন সেবার মান বেড়েছে। মানুষ স্বস্তিবোধ করছে।

নগরীর মুক্তাঙ্গনে দৃষ্টিনন্দন পাবলিক টয়লেটে দেখা গেছে এমন চিত্র। সেখানে দরজার সামনে বসে এক নারীকর্মী টিকিট দিচ্ছেন। পুরুষ, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। টয়লেটের ভেতরে হাত ধোয়া, নিরাপদ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য সোলার সিস্টেম ও গোসলের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি ব্যবহারকারীদের মালামাল রাখার জন্য লকারের ব্যবস্থাও আছে। আর নিরাপত্তার জন্য সামনে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

মুক্তাঙ্গন পাবলিক টয়লেটের তত্ত্বাবধায়ক মোবারক হোসেন জানান, প্রতিদিন গড়ে এখানে ১৫০ থেকে ১৮৫জন নারী পুরুষ সেবা গ্রহণ করে থাকেন। এখানে টয়লেট করতে ৫ টাকা, গোসলে ১০ টাকা আর লকারে জিনিসপত্র রাখতে ৫ টাকা দিতে হয়। নামাজ ও ওযুর ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষজন বিনামূল্যে এখান থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে উন্নতমানের কমোড।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ১৭০টি অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট স্থাপিত হবে। ইতোমধ্যেই উত্তরে ১৫টি ও দক্ষিণে আরো ১৫টি মোট ৩০টি অত্যাধুনিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মোট ৩৬টি টয়লেট রয়েছে। এরই মধ্যে মোট ১৮টি টয়লেটের নির্মাণ ও সংস্কারকাজ শেষ। আরো ১৫টি অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণাধীন রয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে টয়লেট রয়েছে মোট ৪৭টি। সেগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৭টি টয়লেটের নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।

পাবলিক টয়লেটগুলো সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিয়মিত টয়লেটের ব্যবস্থাপনা তদারকি করে থাকে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় টয়লেট ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ। সেই অর্থ কমিটির মাধ্যমে টয়লেট পরিচালনা, কর্মীদের বেতন, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও মেরামত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, এরই মধ্যে ১৭টি টয়লেটের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো ৫০টি অত্যাধুনিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ইত্তেফাককে বলেন, রাজধানী ঢাকায় ২০১৮ সালের মধ্যে সব পাবলিক টয়লেটের আধুনিকায়ন করা হবে। এই মর্মে ওয়াটার এইড এর সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা শহরে শতাধিক আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মোঃ ওসমান গনি বলেন, ইতোমধ্যেই ১৫টি আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো টয়লেট নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়