শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৩৮ সকাল
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রলীগের পিটুনিতে চোখ হারাতে বসেছেন ঢাবি শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট : ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ার ‘অপরাধে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মেরে চোখসহ বিভিন্ন স্থান জখম করেছেন ছাত্রলীগ নেতা। আহত এহসান রফিক ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে মঙ্গলবার রাতভর তাকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের নির্দেশে মারধর করে তারই কক্ষে বুধবার দিনভর আটকে রাখা হয়।

আহত এহসান জানান, মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক প্রায় তিন মাস আগে তার কাছ থেকে ক্যালকুলেটর ধার নেন। এহসান ওমর ফারুকের কাছে ক্যালকুলেটর ফেরত চাইলে প্রতিবারই পরে দেবেন বলে জানান। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এহসান ক্যালকুলেটর ফেরত চাইলে ওমর ফারুক তাকে মারধর করেন। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরিফের (আইইআর) মাধ্যমে এহসানকে টিভি রুমে ডেকে নেন। এ সময় টিভিরুমে উপস্থিত ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তানিম (আইইআর), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিম ইরতিজা শোভন (উর্দু) ও আবু তাহের (পপুলেশন সায়েন্স)। তারা এহসানকে ‘শিবির’ অপবাদ দিয়ে ফোন কেড়ে নিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করেন। কিন্তু তারা ফেসবুকে কিছুই না পেয়ে জোরপূর্বক শিবির স্বীকারোক্তি আদায়ে তাকে বেদম মারধর করেন। তারা মৌখিকভাবে এহসানকে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে হলের গেটের বাইরে বের করে দেন।

সেখানে আরেক দফা ওমর ফারুক ও রুহুল আমিন, সদস্য সামিউল ইসলাম সামী, আহসান উল্লাহ, উপ-সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের নেতৃত্বে রড, লাঠিসোটা দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে এহসান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আরিফ নামে তার এক সহপাঠী রাত সাড়ে ৩টার দিকে এহসানকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে হল শাখা সভাপতি তাহসান আহমেদের (১৬ নম্বর) কক্ষে মারধরের ঘটনা না প্রকাশের জন্য হুমকি দিয়ে আটকে রাখা হয়। সকালে এহসানের অবস্থা খারাপ হলে তাকে আবার ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হলে এনে একই কক্ষে আটকে রাখেন তারা।

খবর পেয়ে এহসানের বাবা দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম ঢাকায় এসে তাকে উদ্ধার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘এহসানের চোখের কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। হল শাখা সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, ক্যালকুলেটর নিয়ে মারধর করা হয়েছে। যারা মারধর করেছে তাদের হল থেকে বের করে দিয়েছি।

ঘটনাটি অবহিত করা হলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, বিষয়টি জানি না। আমি দেখছি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি দেখব।

বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য হলে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়