ডেস্ক রিপোর্ট : সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান জাদুঘরে উপসাগরীয় অঞ্চলের মানচিত্রে কাতারকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ক্ষমা প্রকাশ করে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ল্যুভর। তারা বলছে, আমিরাতি জাদুঘরটির এমন কর্মকাণ্ড ল্যুভর মিউজিয়ামের সঙ্গে করা তাদের চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার শিরোনাম করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমস।
আমিরাতি জাদুঘরের ওই আচরণ নিয়ে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ল্যুভর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন কাতারের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান ড. আলি বিন স্মাইখ আল-মারি। এরপর তিনি তাদের সাক্ষাতের বিষয়বস্তু নিয়ে সিরিজ টুইট করেন। টুইটে তিনি বলেন, ল্যুভর কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে ফরাসি কর্মকর্তাদের আবুধাবি সফরে বিষয়টি তোলা হবে।
এর আগে আমিরাতি জাদুঘরের একটি মানচিত্র থেকে কাতারকে মুছে ফেলার অভিযোগ করেন একজন মার্কিন গবেষক। তবে অভিযোগ উঠার পর জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেটি সংশোধন করে নেয়।
‘আমিরাত-কাতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক সাইমন হেনডারসন দেখান আমিরাতের ওই মানচিত্র থেকে কাতারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কাতার এলাকাটিকেই মানচিত্র থেকে বাদ দিয়েছে দেশটি।
গত বছরের জুন মাসে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন ও মিসর। সে সময় দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ তোলে। কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও দেশ চারটি কাতারের ওপর স্থল, সমুদ্র ও আকাশ পথে অবরোধ আরোপ করে। এরপর থেকেই তেলসমৃ্দ্ধ কাতার ও আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :