শাহরিয়ার কবির : সব সিটিতেই প্রার্থী দিবে জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের শাস্তি কার্যকর এবং দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরেও কিভাবে তারা প্রার্থী দিচ্ছে ?
উচ্চতর আদালত এবং নির্বাচন কমিশন দুই জায়গাতেই জামায়াতে ইসলামি কে দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। কারণ, জামায়াতের গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী। যে দল বাংলাদেশের জন্মের মুহূর্তেই গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছিল, আমরা গত ২৬ বছর ধরে এ দল কে নিষিদ্ধের দাবী করে আসছি। যে দল বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, সে দল কীভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করে? বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্মের নামে যে সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে, সব জামায়াতের আদর্শ অনুযায়ী।
তাদের মওদুদীবাদ ১৯৭১ সালে ধর্মের নামে গণহত্যা কে বৈধতা দিয়েছে। গোলাম আযম বলেছিল, পাকিস্তান না থাকলে দুনিয়ার বুকে ইসলাম থাকবে না। তারা পকিস্তান রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধে যে গণহত্যা করেছে, সে রাজনীতি থেকে কিন্তু এখনো সরে আসেনি। সে সমস্ত লোকেরা যেভাবেই নির্বাচন করুক, দলের প্রতিক নিয়ে, স্বতন্ত্র কিংবা অন্য দলের সাথে যোগ দিয়ে নির্বাচন করুক, সেই লোকই তো থেকে যাচ্ছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন অবস্থাতেই যেন জামায়াতের কোন লোক, স্বতন্ত্রভাবে হোক, অন্য কোন দলে যোগ দিয়ে হোক, তারা নির্বাচনে যেতে না পারে। একই সাথে সরকার কে জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই, কেন তারা জামায়াতের বিচার কে ঝুলিয়ে রেখেছে ? নির্বাচনের আগে যদি জামায়াত কে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে নির্বাচন বানচালের জন্য জামায়াত যা কিছু দরকার সবই করবে। জামায়াত নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে , এটা মূলত লোক দেখানো।
তারা প্রার্থী দিচ্ছে মানুষ কে বিভ্রান্ত করবার জন্য। জামায়াত বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়, তারা তো আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী। তারা ক্ষমতায় এসে কোরআনের আইন চালু করতে চায়। এটা তো তারাই বলছে, আল্লাহর আইন চালু করতে চায়। কোরআনের আইন চালু করবার জন্য বাংলাদেশ হয়নি। তারা সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানে চলে যাক! তারা ধর্মীয়ভাবেও সন্ত্রাসী দল, রাজনৈতিকভাবেও সন্ত্রাসী দল। নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ জনগণ মেনে নেবে না। কোন ভাবেই তারা বাংলাদেশে নির্বাচন করতে পারে না।
পরিচিতি : সভাপতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহবুবুল ইসলাম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :