শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৩১ সকাল
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাল না কিনেও আবুল মাল অনেক কথা বলেন

মোমিন মেহেদী : আমাদের স্বাধীনতা উত্তর সময়ের সরকারী আমলা, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘চালের দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকার মতো হলে সেটা আমাদের জন্য সহনীয়। আমাদের উৎপাদনকারীদের জন্যও সেটা একটা গ্রহণযোগ্য মূল্য।’ এখন নতুন প্রজন্মের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রশ্ন- আপনি কি কখনো বাজারে গিয়ে বাজার করেছেন?
উত্তরে আপনি নিশ্চয়-ই বলবেন ‘না’। যদি না-ই হয় তাহলে এত কথা বলেন কেন? আপনি জানেন ৪০ টাকা কেজী চাল কিনতে হলে প্রতিদিন কত টাকা ইনকাম করতে হয়? জানেন না। কেননা’ আপনার কাছে তো ৪ হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না। যার কাছে ৪ হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না; তার মত একজন নির্গুণ মন্ত্রীর কাছ থেকে এমন কথা শোনাটা অবশ্য স্বাভাবিক-ই।

যেমন স্বাভাবিক ছিলো ‘লুকিং ফর শত্রুজ’ শীর্ষক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর-এর বেলায় ‘দুই ট্রাক অস্ত্র আটক’ সংবাদটি।অর্থমন্ত্রী ভুলে যাবেন না; নতুন প্রজন্ম এখন আর সেই একাত্তরে নেই; যেই একাত্তরে বসে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে ব্যাক কাজ করার পরও আপনি স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। সেই একাত্তরের ইতিহাস থেকে জেনে নতুন প্রজন্ম আপনাকে কালো মানুষদের তালিকায় রেখে এগিয়ে চলছে, ঘৃণা করি বলছে। অতএব, এখন আর নতুন করে ‘রাবিশ’ আমদানি না করে রাজনীতি থেকে অবসর নিন; মন্ত্রীত্ব থেকে তো অবশ্যই। তা না হলে একাত্তর, পঁচাত্তর আর ২০১৮ মিলে মিশে একাকার হয়ে কেড়ে নিতে পারে রাজনৈতিক চাপাবাজীর বর্তমান। মনে রাখবেন আপনি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে থাকবে। আমার মনে হয় তিনি ঠিকই বলেছেন। চালের দাম ৪০ টাকা কেজি থাকা উচিত।

কারণ যারা খাদ্য উৎপাদন করেন, তাদের স্বার্থও আমাদের দেখতে হয়। চালের দাম ৪০ টাকার মতো হলে সেটা আমাদের জন্য সহনীয়। আমাদের উৎপাদনকারীদের জন্যও সেটা একটা গ্রহণযোগ্য মূল্য। আমরা এখন স্বস্তির অবস্থানে আছি। আমাদের এবারের যে সংকট, এটাকে সংকট বলা উচিত হবে না। এটা একটা সাময়িক সমস্যা এবং সেই সমস্যার সমাধান আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি করেছে। ১২ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য মজুতে আছে। যেটা আমাদের দেশের জন্য যথেষ্ট।’ টাইপের কথাগুলো যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই প্রত্যাহার করতে হবে। কেননা, আপনার প্রতিটি কথাই ছিলো লোভাতুর রাজনীতির নেশায় আশক্ত মানুষের মত। তা না হলে কেউ কি বলতে পারে- ‘আমরা বলি, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কেউ কেউ বলে, যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হলেন, তবে কেন মিলিয়ন টন গম আমদানি করেন? এটা একটা অনুধাবনের বিষয়। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা চাল রফতানি করতেও সক্ষম। আমরা প্রচুর ভুট্টা উৎপাদন করি। আটা হয়তো অত্যন্ত কম, মাত্র দেড় লাখ টনের বেশি আমরা গম উৎপাদন করতে পারি না। কিন্তু খাদ্যের বিভিন্ন সামগ্রী যদি আমরা গ্রহণ করি, তাহলে আমরা সত্যিকারভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য শুধু চাল নয়। চাল, গম, ভুট্টা, মাছ, সবজি, ফল ইত্যাদি সবই খাদ্য। খাদ্যের কিছু শত্রুও আছে, যেগুলোকে যেন আমরা কোনোমতেই আমদানি না করি।

মাঝেমধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী এসব করে। যেমন ব্রাজিলে একটি মাছ আছে ‘পিরানহা’। সেটা মানুষকেও খেয়ে ফেলে। আমাদের দেশে পিরানহার মতো কামোট বলে একটা জলজপ্রাণী আছে। সেটা সুন্দরবন এলাকায় একসময় বেশ প্রতাপশালী হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে দুর্যোগপূর্ণ কোনো অবস্থা তারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান হতে হবে। বাইরে থেকে এ ধরনের কোনো খাদ্যের শত্রু যেন না ঢুকতে পারে। খাদ্যের আরেকটি শত্রু অবশ্যই আছে মহামারি, সেটাও অনেক সময় ছোঁয়াচে, এখানে সেখানে যায়। আমাদের সাবধানে সেটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। এবার বোধহয় খাদ্যমন্ত্রীর চাপে পড়ে আমরা এটাকে ১০ টাকায় সরবরাহ করছি। এটা হচ্ছে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য। সুতরাং, আমার মতে, এখানে আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমাদের সামর্থ্য আছে, আমরা ভর্তুকি দিতে পারি।’র মত স্ববিরোধী কথা! পারে না। কিন্তুু আপনি পারেন। এই পারার রাজনীতিকে ঘৃণা জানাই। নিন্দা এই রাজনীতির রং কথাগুলোকেও।

অর্থমন্ত্রী মনে রাখবেন, নতুন প্রজন্ম চোখ কান খুলে রেখে পথ চলে। আপনার মত অবিরত মিথ্যে বা দালালীর রাস্তায় অন্তত তারা হাঁটে না। তাই তারা চায় না নিকৃষ্টতর রাজনীতি-দুর্নীতি বা ৩২ ধারার স্টিম রোলার...

লেখক : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়