শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৩:৩৫ রাত
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৩:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

মাসউদ খান: দেশের সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আলাদা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এজন্য এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডও (পিডিবি) একটি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিও কেন্দ্র স্থাপনের আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

জানা গেছে, যেসব উদ্যোক্তারা নিজস্ব উদ্যোগে ইপিজেড স্থাপন করছে তারাও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এছাড়া সারাদেশে শিল্প উদ্যোক্তাদের জায়গা করে দিতে ১৫ বছরে ১০০ ইপিজেড নির্মাণ করবে সরকার। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা হবে।

আরইবি জানিয়েছে, সারাদেশের নতুন ৪২টি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে তারা। সরকারি ৩৩টি ইপিজেডের পাশাপাশি নয়টি বেসরকারি ইপিজেড রয়েছে। সরকার সারাদেশে নতুন যে ১০০ ইপিজেড নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে এই ৪২টি তারই অংশ। আরইবি এলাকায় শিল্প গ্রাহক কম হলেও সরকার নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কারণে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়বে।

আরইবি আরও বলেছেন, শতভাগ শিল্পায়ন হলে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হতে পারে। এরমধ্যে সরকারি ৩১টি শিল্প পার্কের জন্য দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি ইপিজেডগুলোর জন্য প্রয়োজন হবে ৫২৭ মেগাওয়াট।

বর্তমানে ৪২টি ইপিজেড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে নয়টিতে প্রাথমিকভাবে সংযোগ দিয়েছে আরইবি। এগুলো হচ্ছে- মিরসরাই, আনোয়ারা, মংলা, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি পার্ক, এপিআই শিল্পপার্ক, আব্দুল মোনেম, এ কে খান, আকিজ এবং বে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এছাড়া ৬টি ইপিজেডে বৈদ্যুতিক অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে।

এদিকে মিরসরাই, বঙ্গবন্ধু সিটি হাইটেক পার্ক, এপিআই শিল্প পার্ক, শ্রীহট্ট ইপিজেড, নাফ ট্যুরিজম পার্কও জামালপুর ইপিজেডে ৩৩ কোভি, ১১ কোভি গ্রিড এবং ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪২টি ইপিজেডেই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পিজিসিবি’র ২২টি ১৩২/৩৩ কোভি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এর বাইরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে আরও ১০টি গ্রিড উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ দিতে চীনের সিনোহাইড্রোর সঙ্গে চুক্তি করে পিডিবি ও আরপিসিএল এর যৌথ কোম্পানি বিআর পাওয়ারজেন। তারা আগামী বছরের জুনের মধ্যে ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটি স্থাপনের কাজ শেষ করবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এর আগে মুন্সীগঞ্জের বেসরকারি একটি ইপিজেডের জন্য আব্দুল মোনেম গ্রুপকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একইভাবে নারায়ণগঞ্জের সোঁনারগাও এলাকার ইপিজেডের জন্য আলাদা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চায় কর্তৃপক্ষ। এজন্য এসব বিশেষ অঞ্চলে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করলে অগ্রধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।’

বিদ্যুতের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসও দেবে সরকার। এজন্য গত বছরের শুরুতে সাতটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ দিতে তিতাস গ্যাসের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অঞ্চলগুলো হচ্ছে- আমান ইকোমিক জোন, আকিজ ইকোনমিক জোন, আরিশা ইকোনমিক জোন, বে ইকোনমকি জোন, মেঘনা ইকোনমিক জোন, সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়