শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্যাস বিল দিতে পারছে না ১২ জেলার গ্রাহক

মাহবুব রনি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আবদুর রব পাটওয়ারী। গত বৃহস্পতিবার এক্সিম ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় যান জানুয়ারি মাসের গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য। কিন্তু ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিল গ্রহণ করা যাবে না বলে তাকে ফিরিয়ে দেন। গত সোমবার তিনি ফের যান ওই ব্যাংকে এবং একই কারণ দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে বলা হয় দুই সপ্তাহ পরে যোগাযোগ করতে। কিন্তু ততদিনে দেরীতে বিল পরিশোধের দায়ে তার বিলের সাথে জরিমানা যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম বিল পরিশোধ করতে গিয়ে গত মঙ্গলবার স্থানীয় তিনটি ব্যাংকে ঘুরেছেন কিন্তু কেউই বিল গ্রহণ করেনি। কবে বিল পরিশোধ করা যাবে সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য তারা জানাতে পারেনি।

আবদুর রব কিংবা আনোয়ারার মত একই অবস্থা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ ১২টি জেলার গ্যাস ব্যবহারকারীদের। তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক বিল আদায় সংক্রান্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম অনলাইন এবং আপগ্রেড করার কারণে সফটওয়্যারটি কার্যকর নেই। সফটওয়্যারটি কাজ না করায় ব্যাংকগুলোও বিল আদায় বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। একইসাথে তারা বলছেন, মাসের ২০ তারিখের মধ্যে বিল দেয়া না গেলে জরিমানাও গুনতে হবে তাদেরকে। অথচ কোম্পানির ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে তারা বিল দিতে পারছেন না।

তবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বলছে, সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা না গেলেও আগের বা সনাতনী পদ্ধতিতে বিল গ্রহণ করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে এবং গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যাংকগুলো বিল গ্রহণ করছে না।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আপাতত গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল গ্রহণ করে তা এক্সেল ফাইলে লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলছে। কিন্তু ব্যাংকিং সিস্টেমে সারাদিনের আদায়কৃত টাকা অনলাইনে সাবমিট দেখাতে হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকার তথ্য ব্যাংকের মূল সার্ভারে যুক্ত করতে না পারায় বিল আদায় করা হচ্ছে না। আরেকটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, অনেকেরই গ্যাস বিল বাকি থাকে। সফটওয়্যারে সে তথ্য মিলিয়ে দেখে টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু এখন সে সুযোগ নেই। কবে এই সফটওয়্যার ও সার্ভার ঠিক হবে তাও নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। তাই জটিলতা এড়াতে বিল আদায় করা হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মসিউর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলোর বিল আদায়ে কোনো বাধা নেই। গ্রাহকরা বিল দিতে পারছেন না এমন কোনো অভিযোগ আগে পাওয়া যায়নি। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দেশের ১২টি জেলায় গ্যাস বিতরণ করে তিতাস গ্যাস। এগুলো হলো- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ। জেলাগুলোতে মোট আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ২৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৬। সার, শিল্প, বাণিজ্যিক, সিএনজিসহ তিতাসের মোট গ্রাহক সংযোগ রয়েছে ২৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৪টি। ১৫টি ব্যাংকে গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারছেন গ্রাহকরা। সবমিলিয়ে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন এই গ্রাহকরা। ইত্তেফাক থেকে নেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়