কামরুল আহসান : যৌন নির্যাতন ও মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপন নথি ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জ গত পাঁচ বছর ধরে লন্ডনের অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রিত। একদিনের জন্যও সেখান থেকে তিনি বের হননি। কারণ ব্রিটিশ পুলিশ সর্বদা দÐায়মান ইকুয়েডর দূতাবাসের সামনে। তিনি বের হলেই তাকে ধরে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করবে তারা। আর সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তাকে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রে।
কিন্তু এবার হয়তো তার ওপর থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুলে নিতে পারে ব্রিটিশ আদালত। আদালতে তার মামলাটি নতুন করে আলোচনায় উঠেছে। সুইডেনের হাতে তুলে না দিয়ে তাকে হয়তো লন্ডনে স্বাধীনভাবে চলাচল করার সুযোগ দেওয়া হবে। সুইডেন গত বছর তার ধর্ষণ মামলার তদন্তটি বন্ধ করে দিয়েছে। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবিও বলেন, উক্ত মামলাটি এখন তার উদ্দেশ্য হারিয়েছে।
কিছুদিন আগে অ্যাসাঞ্জর মুক্তির দাবিটি আলোচনায় তুলেন ইকুয়েডরের একজন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এভাবে বছরের পর পর একজন মানুষ এক জায়গায় বন্দি থাকতে পারেন না। এর একটা বিহিত করা উচিত। তার বয়সও হয়ে যাচ্ছে।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বয়স এখন ৪৬। দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন, আর দীর্ঘদিন এক জায়গায় বন্দি থাকতে থাকতে ভুগছেন হতাশায়। গ্রেফতারি পরোয়ানা তুলে নিলে ২০১২ সালের জুন মাসের পর এই প্রথম তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। এসবিএস নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :