নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ভোলা-২ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাফিজ ইব্রাহিমকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার ১৩ বছর সাজার বিরুদ্ধে হাফিজ ইব্রাহিমের করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে একই সঙ্গে তথ্য গোপনের অভিযোগে তার তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
তবে এর আগে দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগ করায় আপাতত হাফিজ ইব্রাহিমকে আর সাজা খাটতে হবে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল।
খুরশিদ আলম খান বলেন, তথ্য গোপনের অভিযোগে হাফিজ ইব্রাহিমের তিন বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। তবে তিনি দুই বছরের অধিক সময় সাজা খাটায় তাকে আর জেলে যেতে হবে না। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে ৫০ লাখ অর্থদণ্ড না দিলে, তাকে আরও এক বছরের জেল খাটতে হবে।
জানা যায়, হাফিজ ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী মাফরুজা সুলতানার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৮ মে গুলশান থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। অভিযোগে বলা হয়, আসামীরা তাদের ঘোষিত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ২০ কোটি ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬৯ টাকার সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। কমিশনে দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে এসব সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন তারা।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ১৯ জুন নিম্ন আদালতের রায়ে হাফিজ ইব্রাহীমকে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর এবং তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া দুর্নীতিতে সহযোগিতার দায়ে মাফরুজা সুলতানাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রায়ের বিরুদ্ধে হাফিজ ইব্রাহিম হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে হাফিজকে খালাস দেন। পরে হাইকার্টের খালাসের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করে।
আপনার মতামত লিখুন :