শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র, পুলিশ মোতায়েন ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত ◈ চুয়াডাঙ্গায় পানের বরজে আগুন ◈ মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি ◈ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি ◈ মানবপাচার ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান ◈ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি ◈ কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি গ্রেপ্তার  ◈ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: প্রধান বিচারপতি 

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:৩১ দুপুর
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রকৃতির ওপরেই নির্ভরশীল আমের উৎপাদন, মুকুল ঝরে ফলন কম হয় ৫লাখ টন

মতিনুজ্জামান মিটু : এখনো প্রায় প্রকৃতির ওপরেই নির্ভরশীল আমের উৎপাদন, কুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপে মুকুল ঝরে বছরে গড়ে ৫লাখ মেট্রিক টন আম থেকে বঞ্চিত হয় দেশ। অথচ সময়মত সঠিক ব্যবস্থাপনায় শতভাগ ক্ষতিই রোধ করা সম্ভব বিশ্বের অষ্টম আম উৎপাদনকারি এই দেশের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে মুকুল পর্যায়ে দেশে বছরে গড়ে ২৫ থেকে ৩৫ ভাগ আম নষ্ট হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর হিসেবে বিগত কয়েক বছরে দেশে গড়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন আমের ফলন হয়। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমির প্রায় ২ কোটি গাছে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয় ২০ লাখ ২৩ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন।

বিগত বছরগুলোর পর্যালোচনায় দেশে বছরে গড়ে ৫লাখ মেট্রিক টন আম কম উৎপাদন হয়। কুয়াশা ও ঠান্ডায় পাতা শোষক পোঁকা ও ছত্রাকের কারণে মুকুল পর্যায়ে এই ক্ষতি হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছের শতভাগ আমই নষ্ট হতে পারে। সময়মত সঠিক পরিচর্যা ও ব্যবস্থা নিলে আক্রান্ত গাছের শতভাগ আমই ঠেকানো যায়। তবে দেশের অন্তত ৮০ ভাগ বসতবাড়ির আম গাছে কুয়াশা এবং ঠান্ডার ক্ষতি রোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়না এবং করা হয়না প্রয়োজনীয় স্প্রে। সচেতনতার অভাব এবং হাতের কাছে সঠিক ঔষধ ও দরকারি মেশিন না পাওয়ায় বসতবাড়ির মালিকেরা সাধারণত কুয়াশা ও ঠান্ডার ক্ষতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়না। মুকুল আসার পর থেকে আম সংগ্রহের আগ পর্যন্ত ৩ বার স্প্রে করা দরকার।

প্রতিবারে একটি গাছের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দামের ৫০মিলিলিটার ঔষধ স্প্রে করতে হয়। তার ওপর অনেক ক্ষেত্রে গ্রাম গঞ্জে সঠিক ঔষধ পাওয়া যায়না। পয়সা দিয়ে নকল বা ভেজাল ঔষধ কিনে প্রতারিত হতে হয়। এছাড়া উচু আম গাছে স্প্রে করতে দরকার হয় মেশিন। বর্তমানের বাজারে যার প্রতিটির দাম ৬০০০ টাকা থেকে ১৪০০০ টাকা। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া এসব যোগাড় করে গাছের আম রক্ষার মানসিকতা ও সঙ্গতি অধিকাংশ বসতবাড়ির মালিকেরই থাকেনা। তাই প্রতি বছর মুকুলেই ঝরে যায় লাখ লাখ টন আম।

বর্তমানে দেশের শতভাগ বানিজ্যিক বাগান, পার্বত্য ও রাজশাহী অঞ্চলের শতভাগ বসতবাড়ি এবং উত্তারাঞ্চলের কিছু কিছু বসতবাড়ির গাছে আমের ক্ষতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অন্যান্য বারের মতো এবছরেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর পক্ষ থেকে কুয়াশা ও ঠান্ডার ক্ষতিরোধে মাঠ পর্যায়ে দরকারি পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়