হ্যাপী আক্তার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুুহিত বলেছেন, আগামী বাজেটে নতুন কোনো উদ্যোগ থাকবে না। তবে সরকারের এই মেয়াদে শেষ বাজেটে সাদামাটা দিতে চান। আগামী বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের চেয়ে ১০ শতাংশের বেশি। তবে থাকবে না নতুন কোনো চমক। নির্বাচনের আগে অর্থনীতির গতি ব্যাহত হবে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতি বছরই বড় আকারের বাজেট দেওয়া হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয় না।
নির্বাচনের বছর তাই বড় আকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা আর বাস্তবায়নে কাজ চলছে তোরঘোর। ভোটের কথা মাথায় রেখে এবারের বাজেটর আকার ধরা হচ্ছে। কিন্তু বাজেট কতটা বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনাও।
নির্বাচনের বছরে বেড়ে যায় বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি থেকে যায় মূল্যস্থিতি ঝুঁকি,বেড়ে যায় অর্থ পাচার। সহিংসতার আশঙ্কায় অর্থনীতি হারায় তার গতি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এবারের বাজেটে নতুন কোনো উদ্যোগ থাকবে না। তবে সরকারের এই মেয়াদে শেষ বাজেটে সাদামাটা দিতে চান। বিএনপির যে আন্দোলন অর্থনীতিতে কোনো দাগ কাটবে বলে তিনি মনে করেন না। বাংলাদেশ উন্নয়নের যে অবস্থানে পৌঁছেছে তা কেউ আর নষ্ট করতে পারবে না।
বার্ষিক উন্নয়নে দেখা দিয়েছে হতাশা, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারে না অনেক মন্ত্রণালয়। তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রাজস্ব আদায়ে পূরণ হয় না লক্ষ্য। তবুও বড় অংকের লক্ষ্য নির্ধারণ হয়, কোনো বছরই বাজেটের বাস্তবায়ন হয় না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি ব্যয় ও রাজস্ব আদায় দুটোই সরকারি জিডিপির অনুপাত হিসেবে পৃথিবীর সর্বনিম্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। তাই বড় ধরনের বাজেট দেওয়াকে তিনি যৌক্তিক বলে মনে করেন। তবে বাজেট যদি বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে কাগজের বাজেটে পরিণত হয়।
বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক গতি বাড়াতে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :