আহমেদ জাফর: খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে নিয়ে কোনো নাশকতা, বিশূঙ্খলা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠিনভাবে প্রতিহত করা হবে। কাউকে এক চুলও ছাড়া দেয়া হবে না।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রায়ত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজন শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে যে সকল শর্ত দিয়েছেন একটি শব্দও পূরণ করা হবে। সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়ব না। নির্বাচনে কারা অংশ নিল বা না নিল,তা দেখার বিষয় না। বিচার বিভাগ স্বাধীন, সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না।

হাছান মাহামুদ বলেন, ৮ তারিখ রায়কে ঘিরে নেতাদেরকে যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। বেইমানদের ওপর নজর রাখছি। এসব বলা মানে খালেদা জিয়া এখন নিজ দলের কাউকেই বিশ্বাস করে না। আপনাকে বাদ দিয়েই বিএনপির একাংশের নেতারা চলতে চান।

আপনার চূড়ান্ত পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে এখন তালবাহানা ছাড়া আরা কিছু করার নাই। সত্যি এতিমদের টাকা না খেলে, অন্যায় না করলে। তারা কীভাবে বুঝলেন যে শাস্তি হবে?

বিএনপির নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির মতো একটি দলের মিটিং পাঁচ তারকা হোটেলে করবে এটা ভাবতে পারছি না। একটি হস্তি মার্কা কমিটির মিটিং করলেন। কেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে করতে পারতেন। এটা তো আপনাদেরই।

খালেদা জিয়া বলেছেন, সবার উপরে আল্লাহ আছেন। সত্যি আল্লাহ আছেন, বলেই আপনার বিচার হচ্ছে। তারেক রহমানকে নিয়ে বলেন সে আগে দেশি চোর ছিল, এখন আন্তঃমহাদেশীয় চোর হয়েছেন। লন্ডনে তার আয়ের উৎস দেখিয়েছেন জুয়া খেলা। এসব লোককে বিএনপির দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্ররঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অরুণ সরকার রানা প্রমূখ।