মতিনুজ্জামান মিটু : ১০০ জন কর্মকর্তার বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেই শুরু হচ্ছে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের কার্যক্রম। বাংলাদেশ সরকারের ১৬৫ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকার ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি আগামী ১ জুলাই শুরু এবং ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি বাস্তবায়ন করছে।
রোববার রাজধানীর খামারবাড়ির আ. কা. মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়ামে প্রকল্পের প্রথম জাতীয় কর্মশালায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, সরকার ধান ও গমের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে। কোনো ফসলের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেনা।
গত ১০ বছরে অনেক অসাধ্য সাধন হয়েছে। ধান, আলু, ভুট্টায় অনেক উৎপাদন বেড়েছে। চাষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন হয়েছে। নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। দানাদার ফসলে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২ বছর আগে কিছু চালও রপ্তানী হয়েছে। শুধু ধান উৎপাদন করলে হবেনা। কিছু ধানের জমি কমিয়ে তাতে উচ্চমূল্যের ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। তাতে মাটিতে গুণাগুণ বাড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ধান চাষের জমি কমিয়ে তাতে ডাল, তেল ও মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদনে জোর দিতে হবে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর(ডিএই)এর মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন। স্বাগত বক্তব্য ডিএই সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল হান্নান। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।
প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলার সব উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০টি ইউনিয়নে ওয়ার্ড ভিত্তিক বীজ এসএমই সৃষ্টি করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে সারা বছর ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। মসুর, মুগ, মাসকলাই, খেসারী, ফেলন, অড়হড়, সরিষা, তিল, সয়াবিন, সূর্যমূখি, চীনাবাদাম, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, আদা, ধনিয়া ও কালোজিরার আমদানী নির্ভরশীলতা ৩০ ভাগ কমানোর লক্ষ্য নিয়েই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :